দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদনের সময় আরো দুই সপ্তাহ পযন্ত বাড়ছে। আগামী জুন মাসের ২ তারিখ পযন্ত বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে আইপিও সাবস্ক্রিপশনের সময় বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে: আমির খসরু মাহমুদ 

তথ্যমতে, গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের পুনর্নির্ধারিত সময় শেষ হয়। তবে এই সময়কে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে যদি অনুমতি দেয়া হয় তবে বাড়ানো হবে কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের সময়।

তবে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওর আবেদনের তথ্য জানা যায়নি। যে মোট কতগুলো আবেদন জমা পড়েছে। যদি ৬৫% নিচে আবেদন পড়ে থাকে তবে কোম্পানিটির আইপিও বাতিলে করা হবে। আর যদি আবেদন ৬৫% এর বেশি তবে ১০০% এর কম হয়ে থাকে তবে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

রও পড়ুন…

করোনার মধ্যেও প্রভিশন ঘাটতিতে পুঁজিবাজারের ৮ ব্যাংক 

এ বিষয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে.এম. সাইদুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের আইপিও আবেদন (সাবস্ক্রিপশন) সময় নির্ধারণ করা হয়। তাও আবার ১৬ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ছিলো লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে আবেদন করতে পারেনি এমন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছে অনেক। এছাড়া অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের অনুরোধ করেছে, আইপিও আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য। তাদের কথা বিবেচনা করেই আমরা কমিশনের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের শেয়ারবাজার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারনে আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

রও পড়ুন…

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।