দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের ব্যবসায় প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স এবং উসমানিয়া গ্লাস লোকসান করেছে। এর মধ্যে উসমানিয়া গ্লাস আগের বছরের একই সময়েও লোকসান করে। সোমবার প্রকাশিত কোম্পানি দুটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

রও পড়ুন…

বিদেশী বিনিয়োগ ফিরিয়ে নিতে অবারিত সুযোগ 

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৩৬ পয়সা। লোকসান করলেও কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের মার্চ শেষে ছিল ১৩ টাকা ১৯ পয়সা। এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ছিল ৫ পয়সা।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে: আমির খসরু মাহমুদ 

উসমানিয়া গ্লাস: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ২ টাকা ৭ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান করায় ৯ মাসের হিসাবে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৩ টাকা ৫৫ পয়সা।

লোকসানের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও আগের বছরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০১৯ সাল জুন শেষে ছিল ৯৯ টাকা ৬৫ পয়সা।

রও পড়ুন…

করোনার মধ্যেও প্রভিশন ঘাটতিতে পুঁজিবাজারের ৮ ব্যাংক 

এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৪ টাকা ৭৫ পয়সা, যা ২০১৮ সালের সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা।