দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চীনের দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে তা পোশাক শিল্পের বাইরে ওষুধ ও চামড়া শিল্প রপ্তানিতে অবদান রাখবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ জন্য পণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি। তবে দু’দেশের ব্যবসায়ী এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়া সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

রও পড়ুন…

বিদেশী বিনিয়োগ ফিরিয়ে নিতে অবারিত সুযোগ 

১৪০ কোটি জনসংখ্যার বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার চীন। রপ্তানিকারক হিসেবেও বিশ্বে বৃহত্তম দেশটি। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ-চীন দু’দেশের সাথে বেড়েই চলেছে বাণিজ্য ঘাটতি। গেল অর্থ-বছরে চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি নতুন করে ৫ হাজার ১৬১টি পণ্যকে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় চীন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শুল্কমুক্ত সুবিধার আগে মাত্র ৯৮টি পণ্য রপ্তানি করতো বাংলাদেশ। এবার এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রপ্তানি পণ্যের ক্যাটাগরি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

রও পড়ুন…

বিসিসিসিআই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ‘ফার্মাসিটিক্যাল, মিঠা পানির এবং সামুদ্রিক মাছ, পাট, কাঁচা চামড়া এবং প্রক্রিয়াজাত চামড়া এখানে বিশেষভাবে বিবেচিত হবে।’ চীনের বাজারে তৈরি পোশাকের বাইরে ওষুধ, ফার্নিচার, চামড়াজাত পণ্য, ফলমূল সহ পণ্যের বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ীদের সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

রও পড়ুন…

করোনার মধ্যেও প্রভিশন ঘাটতিতে পুঁজিবাজারের ৮ ব্যাংক 

তিনি বলেন, ‘নতুন বাজার ধরতে যা যা সহযোগিতা দরকার সরকার সব বিষয় বিবেচনা করবে এবং সব সুযোগ দেবে। আমরা ১৪০ দেশে প্রতিযোগিতা করেই তো রপ্তানি করছি। আশা করি চীনেও ওষুধ রপ্তানি করতে পারবো।’ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চীনের বাজারের জন্য বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে কাজ করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

এ বিষয়ে সিপিডি রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খানা বলেন, ‘দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমরা যদি আরো ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি তাহলে সুযোগটা কাজে লাগানো সহজ হবে।’ নতুন সুবিধায় ৮ হাজার ২৫৬ টি পণ্য বিনা শুল্কে চীনে রপ্তানির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। যা কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।