দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেন খরা জেঁকে বসেছে দেশের শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গড় লেনদেন নেমে এসেছে ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এমন লেনদেন খরার বাজারে পৌনে চার’শ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়ায় শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে এই অর্থ ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

রও পড়ুন…

তবে গত কয়েক সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত থাকে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০টির। আর ২৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে সামান্য উত্থানে শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। সূচক বাড়লেও ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। আর লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রও পড়ুন…

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৮৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৯১ টাকা বা ১৬.১৮ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ২৭১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ০৬ হাজার ৫১৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৮ টাকা কম হয়েছে।

রও পড়ুন…

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮.৭০ পয়েন্ট বা ০.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৯.২৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৯৪ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৮৯ পয়েন্ট বা ০.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৯.৫০ পয়েন্ট এবং ১৩৩০.৩২ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩টি বা ১২.৭৯ শতাংশের, কমেছে ২০টির বা ৫.৯৪ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮৪টির বা ৮৪.২৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩১ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৩১৭ টাকা বা ৫৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ০.৫৬ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ ও সিএসআই ০.৯২ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮০৯.৪৪ পয়েন্টে ও ৭২৮.৭২ পয়েন্টে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে সিএসসিএক্স ০.২৪ পয়েন্ট বা ০.০০৩ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ১১.৪৬ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৮১৮.২৬ পয়েন্ট ও ৯ হাজার ৯১৫.১৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে ২০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫টির বা ১২.৩৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ২০টির বা ৯.৯০ শতাংশের কমেছে এবং ১৫৭টির বা ৭৭.৭২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।