দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অর্থবছরের শেষ দিনে এসে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ দিনে ডিএসইতে প্রায় ৫৫৬ কোটি টাকার এবং সিএসইতে ২২৬ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। হঠাৎ বড় আকারের লেনদেনের বেশিরভাগই হয়েছে অবশ্য ব্লক মার্কেটে। এর মধ্যে বড় অংশ হয়েছে আইসিবি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আর্থিক হিসাব বছরের শেষ তিন দিনে ডিএসইতে মোট তিন হাজার ২৫৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের মালিকানা বদল-সংক্রান্ত সোয়া দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন বাদ দিলে এ তিন দিনে এক হাজার ৩ কোটি টাকার বা দৈনিক গড়ে ৩৩৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর আগের ২০ কার্যদিবসে গড়ে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

রও পড়ুন…

একই রকম চিত্র দেখা গেছে সিএসইতে। গত তিন দিনে এ বাজারে দৈনিক গড়ে ১৮৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, এর আগের ২০ কার্যদিবসে যা ছিল ২০ কোটি টাকারও কম। উভয় বাজারের ৮০ শতাংশেরও বেশি লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পর্যায়ে, যার কেন্দ্রে ছিল আইসিবি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে। বর্তমান বাজারমূল্যে যেসব শেয়ারে লাভ রয়েছে, সেগুলো এক ফান্ড থেকে বিক্রি করে আইসিবিরই অন্য একটি ফান্ড থেকে কেনা হয়েছে।

শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারবাজারে তেমন কোনো ব্যবসা হয়নি। শেয়ারহোল্ডারদের কিছুটা লভ্যাংশ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আইসিবি নিজের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচা করে থাকতে পারে। বাজারের সার্বিক লেনদেন বাড়াতেও কখনও কখনও নিজেদের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচা করে প্রতিষ্ঠানটি। একই রকম পদ্ধতি অনুসরণ করেছে একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি।

গতকালের ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৫৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার মধ্যে ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ব্লকে। এর মধ্যে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ২২০ কোটি টাকার, রেনেটার ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের পুরোটাই ছিল আইসিবি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।