দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারীকে নিয়ে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। রাতারাতি বিখ্যাত হওয়াই কাল হয়েছে সুমনের জন্য। তাকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি তিনি ‘পালিয়ে গেছেন’ বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

রও পড়ুন…

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘন্টায় প্রানহানি ২৯ জন

এ বিষয়ে সুমন বেপারীর বড় ভাই শাহীন বেপারী বলেন, আমার ভাই সুমন পালিয়ে যাবে কেন? সুমন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩নং ভবনের ১নং ওয়ার্ডে ১৪নং বেডে ভর্তি রয়েছে। চাইলে দেখে যেতে পারেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাত ১০টা ৪০মিনিটে ৩নং ভবনে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগে উদ্ধার হওয়ার পর তাৎক্ষণিক ২নং ভবনের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল সুমনকে।

সুমনের ভাই শাহীন বেপারী আরও বলেন, ভাইকে নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যে যা বলার বলুক। আল্লাহর রহমতে ভাই বেঁচে ফিরেছে এতেই শুকরিয়া। সবার কাছে দোয়া চাই আমার ছোট ভাই সুমন যেন তাড়াতাড়ি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটের অদূরে শ্যামবাজার ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। ঘটনার পর নদী থেকে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে লঞ্চটি টেনে তোলার সময় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুমন বেপারীকে।

তবে শুক্রবার (৩ জুলাই) একটি জাতীয় গণমাধ্যমে ‘বুড়িগঙ্গা মনিং বর্ড লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ছিলো সাজানো নাটক’ শিরোনামে নিউজ ছাপা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন ভবন ২ থেকে সুমন ব্যাপারী পালিয়ে গেছে বলে প্রচার হয়।