দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণে বাধ্য করতে বেশ কয়েকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি। নূ্যনতম শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা মানছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালক। নূন্যতম শেয়ার ধারণ নিয়ে কমিশন ৪৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নূন্যতম শেয়ার ধারণ না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রও পড়ুন…

সিনহা সিকিউরিটিজসহ তিনটি ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকের হিসাবে গড়মিল পেয়েছে ডিএসই 

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই,২০) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২২টি কোম্পানির ৬১জন পরিচালককে নূন্যতম শেয়ার ধারণ নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নূন্যতম শেয়ার ধারণ না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই নির্দেশনা থেকে স্বতন্ত্র পরিচালরা বাদ থাকবে।

রও পড়ুন…

উল্লেখ,২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ও সম্মিলিতভাবে নূন্যতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।

ওই নির্দেশনায় পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এককভাবে কমপক্ষে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বিএসইসি। এ ছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত দেয়। গত আট বছরে অনেক পরিচালক ও কোম্পানি এ শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই ৪ কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। আর শেষ পর্যন্ত পরিচালকদের রিট খারিজ করে বিএসইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে আদালত। সম্প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জ,মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে উঠে আসে পুরনো কথা। ওই বৈঠকের পরে আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এরই আলোকে গত বৃহস্পতিবার এই চিঠি দেওয়া হয়।