ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে গত কয়েক কার্যদিবস ধরে শেয়ার বিক্রির চাপ আসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস থেকে। এর মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে গত ২ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতনকে তরান্বিত করছে বলে একটি সুত্র জানায়। গত কয়েক কার্যদিবস ধরে শীর্ষস্থানীয় কোন কোন ব্রোকারেজ হাউসের মোট লেনদেনের সিংহ ভাগ আসে শেয়ার বিক্রি থেকে। ফলে শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজ হাউজগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজার কোন ভাল সংবাদে ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না। ফলে বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ে ফের অজানা আতঙ্কে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

রও পড়ুন…

ডিএসই শীর্ষ ৬ প্রভাবশালী বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের অভিযোগ! 

ব্র্যাক ইপিএল গত নভেম্বর মাস থেকে বিক্রির চাপ শুরু করে। যা এখনো অব্যাহত রেখেছে। ব্র্যাক ইপিএলের মতো বড় ব্রোকারেজ হাউজটির এই বিক্রির চাপ শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। চলমান সংকটে এই হাউজটি থেকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখা হচ্ছে। এদিকে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শরিফ এম এ রহমান বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা নানা অভিযোগ তুলছেন। সম্প্রতি তিনি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বলে ব্র্যাক ইপিএলের একাধিক বিনিয়োগকারীরা দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের কাছে অভিযোগ করেন।

রও পড়ুন…

করোনাভাইরাসের মধ্যে দীর্ঘদিন পরে শেয়ারবাজারে গত ৮ জুলাই থেকে উত্থান শুরু হয়। এতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স মূল্যসূচকটি ৮ জুলাইসহ ৩ কার্যদিবসে বাড়ে ৯৮ পয়েন্ট। একইসঙ্গে ১৫০ কোটি টাকার লেনদেন সাড়ে ৩শ কোটিতে উন্নিত হয়। কিন্তু গত ২ কার্যদিবসে সে উন্নয়নকে পেছন থেকে টেনে ধরেছে ব্র্যাক ইপিএল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এই ২ কার্যদিবস নিট হিসেবে যেকোন হাউজের থেকে বেশি বিক্রি করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুলাই) ব্র্যাক ইপিএল থেকে ২৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করা হয়। এর বিপরীতে কেনা হয় ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার। অর্থাৎ কেনার চেয়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বা ১০৯ শতাংশ বেশি বিক্রি করা হয়। এরপরে আজ (১৪ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিক্রি করা হয়েছে ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। এর বিপরীতে কেনা হয়েছে ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ কেনার চেয়ে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার বা ৮১ শতাংশ বেশি বিক্রি করা হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, বিশেষ একটি গোষ্ঠী বিশেষ উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারের দরপতনকে উস্কে দিচ্ছে। ওই গোষ্ঠীটি বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছেড়ে দিতে প্রলুব্দ করছেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সূত্রটি জানায়, এ গুজবের সাথে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহীরাও জড়িত। এছাড়া সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখনই তদন্ত করা উচিত।

এ বিষয় শীর্ষ এক সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বলেন, কাস্টমার (গ্রাহক) বিক্রি করলে আমি তো না করতে পারব না। আমার ডিলার হিসাব থেকে বিক্রি হয়েছে কিনা এটা দেখেন। শেয়ারবাজারে দরপতনের আমি দৃশ্যমান কোনো কারণ দেখি না। কারণ সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে আন্তরিক। বাজারে বিক্রির চাপ ছিল বলেও আমি মনে করি না।