ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিধিবিধানের বাইরে গিয়ে সন্দেহের ভিত্তিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রসপেক্টাসের ওপর পর্যবেক্ষণ জমা দিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি ডিএসই কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিংয়ের পর গতকাল এক চিঠিতে ডিএসইকে সতর্ক করেছে এসইসি, যা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

রও পড়ুন…

চট্টগ্রামের অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের আইপিও অনুমোদন 

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রুকসানা চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এখন থেকে আইপিও পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রও পড়ুন…

ডিএসই শীর্ষ ৬ প্রভাবশালী বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের অভিযোগ! 

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আইপিও পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এসইসির কঠোর অবস্থানে অস্বস্তিতে পড়েছে ডিএসইর লিস্টিং বিভাগ। পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী কোনো কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন, হিসাব মান কিংবা দেশের অন্য কোনো আইন লঙ্ঘন করতে পারে না। আইপিওতে এমন কোনো ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি কিংবা লঙ্ঘন থাকলে ডিএসইর পর্যবেক্ষণে তার উল্লেখ থাকতে পারে।

রও পড়ুন…

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, আইপিও পর্যালোচনায় অনেক কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোম্পানির বিক্রি থেকে আয় ও মুনাফার তথ্য অতিরঞ্জিত বলে সন্দেহ পোষণ করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বাস্তব পরিদর্শন অথবা অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যদিও সিকিউরিটিজ আইনে তার অনুমতি নেই। গত কয়েক বছরে কিছু আইপিওর ক্ষেত্রে কমিশনের সঙ্গে ডিএসইর মতদ্বৈততা দেখা গেছে।

এসইসি মনে করছে, ডিএসই পাবলিক ইস্যু বিধিমালা অনুযায়ী আইপিও প্রসপেক্টাসের ওপর পর্যবেক্ষণ জমা দিচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে সম্প্রতি এসইসির সঙ্গে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকের পর গতকাল এসইসির দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী প্রস্তাবিত পাবলিক ইস্যুর ওপর অবজারবেশন দেবে ডিএসই। উক্ত বিধিমালা অনুযায়ী আইন ও বিধিমালা ভঙ্গ হয় এমন অবজারবেশন দেওয়া থেকে বিরত থাকবে ডিএসই। অন্যথায় এসইসি সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই সিদ্ধান্ত সিএসইর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে কমিশন অনেক ক্ষেত্রেই আইপিও বিষয়ে ডিএসইর মতামতকে আমলে না নিয়ে আইপিওর অনুমোদন দিয়েছিল, যার বড় অংশ নিয়েই পরে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই কমিশনের ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেওয়া আইপিওর ৫৩ শতাংশ ছিল নিম্নমানের। আইপিও নিয়ে বিতর্কের কারণে ২০১৯ সালে ডিএসইকে প্যানেল গঠনের অনুমোদন দেয় এসইসি। সে অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কয়েকটি আইপিও প্যানেল গঠন করে ডিএসই।