ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে আনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে আরও এক বছর সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএ)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে আট বারের মতো প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ানো হলো। বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রও পড়ুন…

আইপিও পর্যালোচনা স্টক এক্সচেঞ্জকে বিএসইসির হুমকি 

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের এ সুযোগ চলতি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে হওয়ার কথা ছিল। নতুন সময় বাড়ানোয় এ সীমা নির্ধারিত হলো ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

রও পড়ুন…

ডিএসই শীর্ষ ৬ প্রভাবশালী বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের অভিযোগ! 

অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ প্রথমে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ ভাগের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে। তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান ৫টি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে।

রও পড়ুন…

এই সুযোগ পরবর্তীতে আরও কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বপ্রথম এই সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরও মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংককারদের আবেদনের প্রেক্ষিতের প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি। এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়।

বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। তবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরর আগেই আর এক দফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর আরও একদফা বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। তবে জানুয়ারিতে তা আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়। আর এখন তা আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হলো।