ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর.এফ হুসাইন বলেছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারনে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে। এটা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যেকে বলেছেন। খবরের কাগজে মিডিয়ায় বহু লেখালেখি হচ্ছে। যারা বুঝেন, তারা সবাই বলেছেন এই ফ্লোর প্রাইস যদি থাকে, তাহলে শেয়ারবাজার শেষ হয়ে যাবে। ক্ষুদ্র কিছু বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারে না। তাদের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির অভাব আছে। শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুণ:রুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেছেন।

রও পড়ুন..

তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারনে মার্কেটে তারল্যের মন্দাবস্থা। এছাড়া এই পদ্ধতির কারনে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটি যদি আর কয়েক মাস থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানিক স্টেকহোল্ডাররা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফ্লোর প্রাইসের কারনে লেনদেন হচ্ছে না। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না। এদিকে বড় করে খেয়াল রাখা দরকার।

রও পড়ুন…

আইপিও পর্যালোচনা স্টক এক্সচেঞ্জকে বিএসইসির হুমকি 

ব্র্যাক ব্যাংকের এই এমডি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব মার্কেট স্ট্যাবল রাখা না। সূচক বাড়বে কি কমবে, সেটা নির্ভর করবে কোম্পানির পারফরমেন্সের উপরে। আর কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। যাতে একটি সঠিক বাজার গড়ে উঠে। স্টক এক্সচেঞ্জকে আইসিইউতে রাখার উদ্যোগ থেকে সড়ে গিয়ে বড় কিছু সংস্কার করা দরকার বলে জানান ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি। যাতে পুরো শেয়ারবাজার আগামি ২-৩ বছরের মধ্যে বদলে যায়।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারকে ইসেনশিয়াল সার্ভিস ঘোষণা করা উচিত। এটা কোনসময় বন্ধ রাখা যাবে না। গত ৩-৪ মাসে কলম্বোতে কিছুদিন ছাড়া দুনিয়ার কোথাও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল না। তাই আমাদের দেশেও বন্ধ করা যাবে না। এটা সবসময় খোলা রাখার জন্য যা যা করার দরকার, তা করা প্রয়োজন।

৮০-৯০% শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী দিয়ে পৃথিবীর কোন শেয়ারবাজার উপরের দিকে যেতে পারে না বলে জানান তিনি। তাই আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক দিকে যেতে হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল প্লাটফর্মে দ্রুত চলে যেতে হবে।