দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের মূল বোর্ডে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হতে যাচ্ছে। ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই,২০২০) চিঠি দিয়েছে। জানা গেছে, লেনদেনে চালু করতে বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাহমুদা শীরিনের স্বাক্ষরিত চিঠি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিকট পাঠানো হয়েছে।

রও পড়ুন…

চিঠিতে বলা হয়েছে, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হবে। এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন লেনদেন শুরু করতে পারে উভয় বাজারের কর্তৃপক্ষরা।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি

ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সোনালী পেপারকে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে লেনদেনের অনুমোদন দিলেও লেনদেন শুরু হয়নি। লেনদেনের জন্য গত ২ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছিল।কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ডিএসই লেনদেন স্থগিত রেখেছে। এবার সোনালী পেপারের লেনদেনের জন্য বিএসইসি চিঠি দেয় দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে। ফিরতি চিঠিতে স্টক এক্সচেঞ্জের জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে লেনদেনের অনুমোদন দিল বিএসইসি।

রও পড়ুন…

টিকটক লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে ! 

কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার বা প্রাইস লিমিট লেনদেনের প্রথম কার্যদিবস থেকেই কার্যকর হবে। ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হবে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে এবং পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত ‘জেড’ ক্যাটেগরিতেই কোম্পানিটির লেনদেন হওয়ার শর্ত ছিল। এর আগে ডিএসইর পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সময়ে ডিএসই’র মতো কোম্পানিটিকে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় সিএসই কর্তৃপক্ষ।

এর আগে পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ফিরতে বিএসইসি আবেদন করে সোনালী পেপার কর্তৃপক্ষ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ কয়েকটি কারণে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়।

সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ। সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।

এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৮৬ পয়সা।