দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে মন্দ কোম্পানি হিসেবে পরিচিত জেড জেট ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর পরিচালন মান উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একগুচ্ছ কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়া এবং উদ্যোক্তা বা স্পন্সরদের শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়ও রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩৫তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রও পড়ুন…

‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে বিএসইসির নতুন নির্দেশনা 

বিএসইসির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে:

১. জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা নিজ কোম্পানির ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না, কারো নামে স্থানান্তর করা যাবে না, কাউকে উপহার দেওয়া যাবে না, এসব শেয়ার জামানত রেখে কোনো ধরণের ঋণও নেওয়া যাবে না।

রও পড়ুন…

২. জেট ক্যাটাগরিতে লেনদেনকৃত কোম্পানীসমুহকে ছয় মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে।

৩. সকল ধরণের শেয়ার হােল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) ই ভোটিং/ অনলাইনের সুবিধা প্রদানপূর্বক ডিজিটাল প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে;

৪. যে সকল কোম্পানী দুই বছর বা তদূর্ধ সময় ধরে জেট ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত সেই সমস্ত কোম্পানি, পঁয়তাল্লিশ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বাের্ড পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সরগণ অন্য কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না। কমিশন এক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক ও কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক নিয়ােগের। মাধ্যমে বাের্ড পুনর্গঠন করে জেট ক্যাটাগরির কোম্পানীর সুশাসন নিশ্চিত করবে।

৫. পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ চার বছরের মধ্যে কোম্পানীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ উক্ত কোম্পানীকে তালিকাচ্যুতিসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অন্যদিকে ৬ মাস বা ততােধিক সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে; অথবা যদি পরপর ২ দুই বছর নীট কার্যকর লােকসান অথবা নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো অপারেশন থাকলে অথবা যদি তালিকাভুক্তি কোম্পানীর পুঞ্জিভূত লােকসান তার পরিশােধিত মূলধনকে অতিক্রম করে; এছাড়াও, কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জয় জেট ক্যাটাগিরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।