দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঋণ আমানত অনুপাত সীমা (এডিআর) বাড়ানোর পরও আইন লঙ্ঘন করে ঋণ বিতরণ করেছে সরকারি-বেসরকারি ১১ বাণিজ্যিক ব্যাংক। এর মধ্যে পুঁজিবাজারের রয়েছে ৬ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত জুন শেষে হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রও পড়ুন…

ছয় ইস্যুতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাস 

ডিএসই’র ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটিতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি 

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ঋণ ঠেকাতে টানা পাঁচবার ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপরও অনেক ব্যাংক তা সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়। পরে মহামারি করোনায় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা ও ব্যাংকগুলোর ঋণপ্রবাহ বাড়াতে এডিআর ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা গত ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এ সুবিধা পাওয়ার পরও পুঁজিবাজারে ৬টি সহ মোট ১১টি ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সীমার ওপরে রয়েছে।

পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারের এক্সিম ব্যাংকের এডিআর রয়েছে ১০১ দশমিক ২৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৯৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৩ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংকের ৮৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের (ইসলামী শরীয়াভিত্তিক ইউনিট) ঋণ বিতরণ নির্ধারিত সীমার ওপরে রয়েছে ১২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

একটি ব্যাংক আমানতের বিপরীতে কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, আমানত অগ্রিম হার (এডিআর) প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো জন্য ৮৭ শতাংশ এবং ইসলামী শরীয়াভিত্তিক ব্যাংক ও প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ইসলামী শরীয়াভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য এডিআর ৯০ থেকে বাড়িয়ে ৯২ শতাংশ করা হয়েছে, যা চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর রয়েছে। অর্থাৎ প্রচলিত ধারার ব্যাংকে ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করতে পারবে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকগুলো দিতে পারবে ৯২ টাকা।