দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টিং) হতে চাওয়া কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ার দর নির্ধারনের পদ্ধতি উল্লেখ করে দেওয়া আছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশনে। এক্ষেত্রে ৩টি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তবে ৩ পদ্ধতির মধ্যে সর্বোচ্চ দরে শেয়ার কিনে নিতে হবে।নিম্নে স্বেচ্ছা ডি-লিস্টিংয়ের শেয়ার দর নির্ধারনের পদ্ধতি তুলে ধরা হল-

১. সর্বশেষ লেনদেনকৃত দর
২. সর্বশেষ ৬ মাসের ওয়েটেড এভারেজ দর
৩. সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ি শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য

রও পড়ুন…

বিএসইসির সময়োপযোগী পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরছে: আসিফ ইব্রাহিম

এই ৩ পদ্ধতির মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের সর্বশেষ লেনদেনকৃত দর ছিল ৮.৪০ টাকা। আর বিগত ৬ মাসের মধ্যে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দর হয়েছে ৯.৭০ টাকা। তবে অধিকাংশ সময় এর থেকে অনেক কমে অবস্থান করায় ওয়েটেড এর ক্ষেত্রে এই দর কমে আসবে। আর সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে এনএভিপিএস দাড়িঁয়েছে ১৪.১৩ টাকা। এ হিসাবে ১৪.১৩ টাকায় সব শেয়ার কিনে নেবে।

রও পড়ুন…

আইন অনুযায়ি, স্বেচ্ছা ডি-লিস্টিং এর জন্য উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত সব শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য স্কিম তৈরী করতে হবে। এজন্য মার্চেন্ট ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। যার মাধ্যমে পুরো শেয়ার ক্রয়ের বিষয়টি সম্পন্ন হবে। তবে কেউ চাইলে শেয়ার বিক্রি না করে রেখেও দিতে পারবে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের ডি-লিস্টিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাড়িঁয়েছে, বিদ্যমান আইনে সেই সুযোগ আছে কিনা। ডিএসইর আইনে বলা হয়েছে, ৩টি কারনে স্বেচ্ছা ডি-লিস্টিং হতে পারবে।

এরমধ্যে ৫২ (১) এর: (এ)তে বলা হয়েছে, গত ১ বছর স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন না হলে।
(বি) যদি উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারন ৯০ শতাংশের বেশি হয়।
(সি) যদি কোন অতালিকাভুক্ত কোম্পানি ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারন করে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের ক্ষেত্রে এই ৩টি শর্তের কোনটিই পূরন হচ্ছে না। কোম্পানিটির শেয়ার সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) লেনদেন হয়েছে, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারধারন ৯০ শতাংশের থেকে কম এবং কোন কোম্পানির হাতেই ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারন নেই। যে কারনে বিদ্যমান আইনে ডি-লিস্টিং হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কমিশন চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব। ২সিসি এর ক্ষমতাবলে কোম্পানিটিকে ডি-লিস্টিংয়ের সুযোগ করে দিতে পারে।