দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতার জন্য সকল স্টেক হোল্ডারদের আর্থিক প্রতিবেদনে একই ডাটাবেজ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে অগ্রনী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারের টাকা নিয়ে পালানোর দিন শেষ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

শনিবার পুঁজিবাজার সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও আগামী দিনের জন্য করনীয় শীর্ষক সেমিনারে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

অনুষ্ঠানে উপস্থি রয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদ মতিন, ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশনের সভাপতি শরীফ আতাউর রহমান, এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিএমবিএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মনিরুজ্জামান।

বিএমবিএর সভাপতি মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাজার এখন অনেক ভালো। পুঁজিবাজার নিয়ে এখন আশার আলো দেখছেন সকল স্টেকহোল্ডাররা। এই আশার আলোকে তরান্বিত করার জন্য পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা জরুরি একটি বিষয়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে উদ্যোগ নিয়ে সকল স্টেক হোল্ডারদের জন্য অভিন্ন ডাটাবেজ তৈরির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, তারল্য সংকট নিয়ে যে ধরনের সমস্যা ছিলো, বাজার ভাইব্রেন্টের কারণে তারল্য সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমরা মনে করি, এ সমস্যা আর নেই। এখন বাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই আগ্রহ ধরে রাখার জন্য বিএসইসির নতুন কমিশনের প্রতি যে আস্থা মানুষ রেখেছে এবং কমিশন যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামী দিনেও পুঁজিবাজারের উন্নিয়নে কমিশন একই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। আমাদের সূচক বাড়লেও পি/রেশিও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তার মানে আমাদের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত সম্প্রসারণ হওয়ার অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।

আর এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আগামী দিনে আমাদের স্টেক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে নানা পরামর্শ, বিনিয়োগকারীদের আগামী দিনের পথচলার পাথেয় হিসেবে নেয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি করার জন্য কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।