দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরেছে। বাজার গতিশীল হচ্ছে। এছাড়া আরো ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে বাজারে টেকসই উন্নতি হবে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।এছাড়া পুঁজিবাজারে ধীরে ধীরে বাড়ছে লেনদেন। বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফিরে আসায় লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাজারমুখী হবে।

রও পড়ুন…

ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারাবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরও বেড়েছে। আর সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা ১৪ হাজার ১১১ কোটি ২২ লাখ ৬২ হাজার টাকা ফিরে পেয়েছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৬৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৬৩৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৪০ কোটি ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা বা ৬.৪৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১২৭ কোটি ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৮ লাখ ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৯ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৩.৩৬ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৪.৬৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪.৫৪ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৩৭ পয়েন্ট বা ১.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৬৩.০৬ পয়েন্টে এবং ১৭৬১.৬০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১২টির বা ৫৮.৮৮ শতাংশের, কমেছে ১১৯টির বা ৩৩.০৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির বা ৭.৭৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার টাকায়। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৭ লাখ ৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৬৯০ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা বা ১.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৭৫ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৪ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮০২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬ টাকা বা ১৩.৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৮.৬০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৩.৭০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৫৪.৩২ পয়েন্ট বা ১.৭৯ শতাংশ, সিএসইর-৩০ সূচক ১৬৮.৭৭ পয়েন্ট বা ১.৩৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২০.৬৮ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ এবং সিএসআই ১.৪১ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৭৫৬.৯১ পয়েন্টে, ১২ হাজার ২২৮.৪৪ পয়েন্টে, ১০৬২.৫৯ পয়েন্টে এবং ৯৪২.৬৭ পয়েন্টে।