দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম আকর্ষণীয় থাকার পাশাপাশি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) বিশেষ উদ্যোগের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়েছে। আবার বাজারে আসতে শুরু করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এদের সঙ্গে নতুন প্রবাসী, বিদেশিরাও বাজারে আসছে। এতে কেনা-বেচা বেড়েছে দেড় গুণ।

রও পড়ুন…

স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কেবল আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দেয়া হয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৩৯ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, বিদায়ী মাস আগস্টে ডিএসইতে মোট ১৯ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তাতে প্রবাসী-বিদেশি, ক্ষুদ্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ১৮ হাজার ৬১৭ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রবাসীদের লেনদেন হয়েছে ৯৬৯ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

এর আগের মাস জুলাইয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোট লেনদেন করেছিল ৫৯০ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে প্রবাসীদের লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪শ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান অধ্যাপক শিবলী রুবায়ত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের পুঁজিবাজার। ফলে গত জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে সূচক লেনদেনে ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এটা পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। আগের অর্থাৎ অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের কমিশনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকায় টানা দুই বছর নেতিবাচক ধারায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার। গত ১০ বছরই ছিল অস্থিতিশীল বাজার। এ কারণে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ ব্যবসায়ী এবং সরকার কেউই স্বস্তিতে ছিল না। স্বস্তিতে ছিল শুধু আইপিও ব্যবসায়ীরা।