দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তহবিল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যাতে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য থেকে ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর মাধ্যমে এ তারল্য সুবিধা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে মার্জিন ধরা হয়েছিল ট্রেজারি বন্ড বা বিলের রেপো মূল্যের ৫ শতাংশ। যা এখন ৪.৭৫ শতাংশ করে নতুন সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারে বিশেষ তহবিলের সুদ হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পাঁচ ইন্সুরেন্সের কোম্পানির লেনদেনে রেকর্ড

সার্কুলারের তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা উপর্যুক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলারের নং-০১ মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং উক্ত তহবিল হতে বিনিয়োগের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমানে মুদ্রা বাজারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যতা বিধান করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত যেকোনো অংকের তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে রেপোর সুদহার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৪.৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিনিয়োগ নীতিমালা প্রসঙ্গে সার্কুলারে বলা হয়, বিশেষ তহবিলের অর্থ শুধু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ কুপন বা সুদবাহী তালিকাভুক্ত করপোরেট বন্ড বা ডিবেঞ্চার এবং যেকোনো মেয়াদের এবং কুপনবাহী সরকারি বন্ড বা বিল হতে হবে। ভেরিয়েবল রেট ন্যূনতম সুদের হার কুপন প্রদানের মাসের অব্যবহিত পূর্বে সমাপ্ত মাসে বিদ্যমান সর্বশেষ ইস্যুকৃত ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারী বন্ডের সুদ হারের ১ শতাংশের কম হবে না।

সম্পদভিত্তিক বন্ড/ সুকুক এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৮ শতাংশ কুপন বা মুনাফাবাহী হতে হবে। আর ভেরিয়েবল রেটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মুনাফা বা সুদের হার কুপন প্রদানের মাসের অব্যবহিত পূর্বে সমাপ্ত মাসে বিদ্যমান সর্বশেষ ইস্যুকৃত (১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারী বন্ডের সুদ হার + ০.৫০%) এর কম নয়।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ডিওএস সার্কুলার নং-০১/২০২০ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে উক্ত সার্কুলারের অধীনে চলমান রেপো সমূহের মেয়াদপূর্তিতে নতুন হার কার্যকর হবে।