দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আসার প্রথম দুই দিনে দাম বেড়ে দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেলেও ওয়ালটন হাইটেকের শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না শেয়ারটির আইপিওতে পাওয়া বিনিয়োগকারীরা। আগের দুই কার্যদিবসের মতো রোববারও দফায় দফায় দাম বাড়লেও ওয়ালটনের শেয়ারে বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শেয়ারটির ক্রেতা থাকলেও কোনভাবেই বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারে ডিসেম্বরের মধ্যেই সুকুক চালু করা হবে

প্রাথমিক পণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে টাকা নেয়া ওয়ালটন হাইটেক পার্কের শেয়ারের গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার ৫০ শতাংশ বেড়ে সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের প্রথম দু’দিন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবারও কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সুযোগ ছিল, যা লেনদেন শুরুর প্রথম মিনিটেই স্পর্শ করে।

পরপর দুই কার্যদিবসে এমন দাম বাড়ার পর আজও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বড় অংকে বেড়েছে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না ওয়ালটনের শেয়ারের। আজ লেনদেনের শুরুতে ৫৯৫ টাকা ৩০ পয়সা করে পাঁচটি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর দফায় দফায় দাম বেড়ে এক পর্যায়ে ৬০৯ টাকা ৫০ পয়সা করে ১৮ লাখ ২০ হাজার ১৮৮টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

ওয়ালটনের শেয়ার কিনতে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা এমন হুমড়ি খেয়ে পড়লেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তাদের কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও ওয়ালটনের শেয়ারের বিক্রেতা নেই হয়ে গেছে। গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওতে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ফলে বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক পণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ইস্যু করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি সাধারণ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে তাদের প্রস্তাব করা দামে কিনছেন। বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি সাধারণ শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেসীসহ) নিকট বিক্রির জন্য আইপিও আবেদন সংগ্রহ করা হয়। অর্থাৎ মাত্র তিনদিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়ে আইপিও মূল্যের আড়াইগুণ হয়ে গেছে।