দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শুরু হলো ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৮। অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে এ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের প্রতি সিজনেই ক্রেতাদের জন্য নতুন নতুন চমক রাখে ওয়ালটন। এবার সিজন ৮-এ ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন ক্রেতাদের ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা।

আছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য। থাকছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে এসব সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।বুধবার রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৮ ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’ এ এসব সুবিধার ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে, সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, সিজন ৮-এ ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করবেন। এরপর ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। অসংখ্য পণ্য ফ্রি (বিনামূল্যে) পেতে পারেন। এছাড়াও পাবেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। প্রাপ্ত ক্যাশ ভাউচার দিয়ে পছন্দমতো ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা ও এমদাদুল হক সরকার এবং ওয়ালটন প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান মোহাম্মদ রায়হান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, উদয় হাকিম, আরিফুল আম্বিয়া ও আমিন খান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা, ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও প্রকৌশলী আল ইমরান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. ফিরোজ আলম।

উল্লেখ্য, ক্যাম্পেইনের আগের সিজন সাতেও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। আগের সিজনগুলোতেও ক্রেতারা ১০ লাখ করে টাকা, নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, অসংখ্য ফ্রি পণ্য, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিটসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা ও ক্রয়সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিজাইন এবং মানোন্নয়নে দেশ-বিদেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) টিম কাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত আরো উন্নত ও অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।’ ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৮-এর ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে বক্তব্য রাখছেন ওয়ালটনের ডিএমডি ইভা রিজওয়ানা

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে আছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৮০ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। আরো আছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। এছাড়া, ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর সব শ্রেণির গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এদিকে, অক্টোবর মাসে আরো বড় সাইজ ও নান্দনিক ডিজাইনের নতুন আরেকটি মডেলের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর বাজারে উন্মোচন করা হবে। আপকামিং মডেলের এই নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে আসার আগেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে। নতুন মডেলের ফ্রিজটি বাজারে আসা মাত্রই কিনে নিতে ইতোমধ্যে অনেকেই নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুমে প্রি-বুকিং দিয়ে রেখেছেন।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রকৌশলীরা জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।

আন্তর্জাতিক মানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশের ফ্রিজ বাজারে প্রায় ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে ওয়ালটনের। এছাড়া, গত ডিসেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো দেশের সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ওয়ালটন।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্রিজের সার্ভিস দিতে বদ্ধপরিকর ওয়ালটন।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও প্রকৌশলী আল ইমরান বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন অত্যন্ত জরুরি দুটি গৃহস্থালি পণ্য। সেজন্য দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে ক্রেতাদের অতি প্রয়োজনীয় পণ্য দুটিতে এমন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে বাজারে আছে ওয়ালটনের ১৪ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ এবং ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন। ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসব মেশিনের দাম ৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে। ক্যাম্পেইন এবং ঈদ উপলক্ষে অত্যাধুনিক ফিচারের নতুন দুই মডেলের ওয়াশিং মেশিন বাজারে ছাড়া হয়েছে।

ওয়ালটনের অটোমেটিক ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিনে আছে হট ওয়াটার ওয়াশ সুবিধা। যাতে ৯৫ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম পানিতে কাপড় পরিষ্কার করা যায়। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত মোটর ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন। এছাড়া, বর্তমানে বাজারে আছে ৯ মডেলের ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। দাম পড়বে ৬ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে। এতে মাছ-মাংস ডিফ্রস্ট থেকে শুরু করে খুব সহজেই নানা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায়।