দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসছে অবকাঠামো নির্মাণখাতের খ্যাতনামা কোম্পানী মীরআক্তার হোসেন লিমিটেড।গত ১৩ আগস্ট, ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজঅ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৩৫তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়াহয়।শেয়ারের ইলেক্ট্রনিক বিডিং আগামী ৪ অক্টোবর, ২০২০ থেকে শুরুহবে।কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

রও পড়ুন..

পুঁজিবাজারে আসছে খ্যাতনামা নির্মাণকারী কোম্পানী মীর আক্তার

অবকাঠামো উন্নয়নের সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতিকেনা,ব্যবসায় সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ মেটাতে মীর আখতার হোসেন লিমিটেডকে পুঁজিবাজার থেকে১২৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত কোম্পানিটিরশেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬.৩২ টাকা। শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়নসঞ্চিতিসহ) ৩৪.৭১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিব্যতীত) ৩৩.৬৩ টাকা।গত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফারভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ৬.২১ টাকা।

বর্তমানেপ্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৪ টি প্রকল্পে কাজ করছে, যার আর্থিক মূল্য ৫,৭৬১ কোটি টাকা। মীর আক্তার এই খাতের একক কোম্পানি যারা অবকাঠামো উন্নয়নের সবগুলো শাখায় কাজ করে থাকে, যেমন ব্রিজ ও ফ্লাইওভার, হাইওয়ে, এয়ারপোর্ট ওরানওয়ে, রেলওয়ে ট্র্যাক, ড্রেজিং, পাবলিক ইউটিলিটি বিল্ডিং, ফ্যাক্টরি বিল্ডিং।

মীর আক্তার এর বাস্তবায়িত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিরপুর ফ্লাইওভার, র‌্যাডিসন হোটেল ঢাকা, হাতিরঝিলের সম্পূর্ণ অ্যাসফল্টিং ও ৪ টি ব্রিজ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,কক্সবাজার এয়ারপোর্ট ওরানওয়ে, আশুগঞ্জ এর ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের সিভিল কন্সট্রাকশন, পাবনা ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ।কোম্পানিতে এখন প্রায় ৩,৬০০ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে যার মধ্যে প্রকৌশলী আছে ৪৫০ জন।

মীর আক্তার নিজ নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও বিভিন্ন জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রকল্পে কাজ করে থাকে এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোম্পানিটি সাবকন্ট্রাক্টেও কাজ করে থাকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি নদীতে তিনটি নতুন ব্রিজের কাজ এইভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এই বিষয়ে উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ৪ টি এয়ারপোর্টের যে উন্নয়ন কাজ চলছে, সবগুলোতেই মীর আক্তার কাজ করছে, ঢাকা এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩ এর কাজেমিতসুবিশি ও স্যামসাংকে সহযোগিতা করছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সোহেলা হোসেন, যিনি বর্তমানে এন সি সি ব্যাংকেরও ভাইস-চেয়ারম্যান। এফ বি সি সি আই এর প্রাক্তন সভাপতি, মীর নাসির হোসেনপ্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংকেরডিরেক্টরহিসেবেওদায়িত্ব পালন করছেন।

অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিকউন্নয়ন পরিকল্পনা’র একটি অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ওসরকারেররূপকল্প ২০৪১বাস্তবায়নের পথে সামনের দিনগুলোতে এই খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।