দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিদেশি কোম্পানিকে স্থানীয়দের সাথে একীভূত হয়ে ট্রেক লাইসেন্স অর্জনের অনুমতি দিয়ে ট্রেক বা ব্রোকারেজ লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করেছে। বিএসইসি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং শীঘ্রই একটি গেজেট প্রকাশ করা হবে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর এটি চুড়ান্ত করেছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রও পড়ুন..

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা উচ্চ সুদের কারণে অস্বস্তিতে

ডিএসইর ট্রেক ৫ কোটি টাকা, জামানত ৩ কোটি

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে কোনও দেশি-বিদেশি সংস্থা নিবন্ধন ফি পাঁচ লাখ টাকায় ট্রেক কিনতে পারবেন। লাইসেন্সের জন্য আবেদনের ফি ১ লাখ টাকা।

এছাড়া নতুন বিধি অনুসারে দেশীয় সংস্থাগুলোর অবশ্যই পরিশোধিত মূলধনে ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা থাকতে হবে এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর দেশের স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ট্রেক কিনতে ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। তবে, স্থানীয় এবং বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে গঠিত যৌথ সংস্থা ট্রেক যোগ্য হওয়ার জন্য পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম আট কোটি টাকা থাকতে হবে। নতুন সংস্থাগুলোর মধ্যে স্থানীয়দের ৩ কোটি টাকা, বিদেশী সংস্থাগুলোকে ৫ কোটি টাকা এবং যৌথ উদ্যোগ সংস্থাগুলোর সুরক্ষা মানি হিসাবে ৪ কোটি টাকা রাখতে হবে। একই সাথে সার্বক্ষনিক নীট সম্পদের পরিমাণ পরিশোধিত মূল ধণের ৭৫ শতাংশের বেশি হবে না।

অন্যদিকে ট্রেক নেওয়ার জন্য ডিএসইতে আবেদন করতে হবে ১ লাখ টাকা দিয়ে। এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের বরাবর ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হলে তাকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ দিতে হবে আরও ৫ লাখ টাকা। যদি কোনও ট্রেকের পরিচালক অন্য একটি ট্রেক হোল্ডিংয়ে পরিচালক হিসেবে থাকে এবং মিউচুয়াল ফান্ড সহ যে কোনও যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে সংস্থার অংশীদারিত্ব থাকে, তবে সংস্থাটি ট্রেকের জন্য আবেদন করতে পারবে না।

এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ট্রেকের জন্য করা আবেদন অনুমোদন বা বাতিল করতে হবে। বেশ কয়েকটি বিদেশি সংস্থা ডিএসইর কাছ থেকে ট্রেক বা ব্রোকারেজ লাইসেন্স পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এর মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইএফজি প্রাইভেট ব্যাংক, সিডিএফ লন্ডন এবং অ্যাবারডিন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, চীন ভিত্তিক সিআইটিআইসি সিএলএসএ সিকিউরিটিজ এবং মার্কিন-ভিত্তিক গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ এবং ব্ল্যাক রক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, ট্রেক পেতে আবেদন করা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা হতে হবে। এছাড়া ট্রেক পেতে আবেদন করা ফরমের মূল্য ১০ লাখ টাকা,নিবন্ধন ফি দুই কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলো ডিএসই।

গত ২৪ মার্চ ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০’ খসড়া করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য মতামত চায় বিএসইসি। এ খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়।

চুড়ান্ত আইনে এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউস) পাওয়ার অধিকার রাখেন। বিএসইসি (ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন আধিপত্য বিধি) ২০১৯ অনুসারে, একটি সম্পূর্ণ কার্যকারী স্টক ব্রোকার এবং ডিলারের অবশ্যই মূলধন থাকতে হবে সর্বনিম্ন ১৫ কোটি টাকা।