দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) আবাসিক প্রতিনিধি ইউজি আন্দো বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি। প্রতিবছর ৫০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছু সমস্যা আছে। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’

আজ বুধবার (৭অক্টোবর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ এম শফিকুল আলমসহ ইআরএফের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাপানের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

ইউজি আন্দো বলেন, ‘এখনো সুযোগ আছে, বাংলাদেশ হতে পারে জাপানের অন্যতম বিনিয়োগের জায়গা। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এখনো অনেক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। বিনিয়োগকারীরা আরো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ চায়। কর সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে, যেগুলো দ্রুত সংস্কার করলে জাপানসহ অন্যান‌্য বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে বাংলাদেশ বিনিয়োগের অনেক আকর্ষণীয় স্থান হবে। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দ্রুত দূর করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীন থেকে যে পরিমাণ কোম্পানি কারখানা স্থানান্তর করবে বলে অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে ততটা হবে না। কোম্পানিগুলো কারখানা চীনে রেখে অন্যান্য দেশে নতুন কারখানা করতে পারে। আর কারখানা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে।’

জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, ‘জাপানের যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, তার ৭০ ভাগ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে অগ্রহী। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ইআরএফ ও জেট্রো যৌথভাবে কাজ করতে পারে।’ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও ভালো করতে ইআরএফ জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ইআরএফ নেতারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার জন্য দেশটির জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে জেট্রোর সহযোগিতা কামনা করেন।