দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উদ্যেঅগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসাবে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ৫৯ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য বিএসইসিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। গত সোমবার ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি বিতরণ কর্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়।

রও পড়ুন..

ইউনাইটেডের আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

চিঠিতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন এবং তারল্য পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট নিরসনে প্রতিটি ব্যাংককে বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিল গঠন এবং তা বিনিয়োগের বিস্তারিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের যে সুযোগ দিয়েছে, তার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে ৫৯টি ব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট নিরসনে ব্যাংকগুলোর কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে কমিশন।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট ও আস্থাহীনতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের দাবি জানায়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত চায় অর্থ মন্ত্রণালয়।

মতামতে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেয়। এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো আগামী ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রেপোর মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।