দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এক সময়ে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো আমানত নিয়ে দারুণ সংকটে ছিল। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। কয়েকটি ব্যাংক ভালো আমানত পাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মধ্যেও ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য জমা হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বিনিয়োগ হচ্ছে না। এজন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনের বাইরেও সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বড় অঙ্কের টাকা খাটাচ্ছে।

রও পড়ুন..

ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত আগস্ট শেষে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ আছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা ট্রেজারি বিল-বন্ড ও বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করেছে তারা।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোতে গত ফেব্রুয়ারিতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নেওয়ার চাপ বাড়ে। এতে মার্চ শেষে অতিরিক্ত তারল্য কমে ৮৯ হাজার ৯০৯ কোটি টাকায় নামে। এমন অবস্থায় ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর) কমানো হয়। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকা অর্থ থেকে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা ফেরত পায় ব্যাংকগুলো।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঋণের সুদ ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় আমানতের সুদও ৬ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এরপরও ব্যাংকগুলো ভালো আমানত পাচ্ছে। কারণ, মানুষের হাতে টাকা রাখার ভালো কোনো বিকল্প নেই। এর ওপর নগদ জমার হার (সিআরআর) কমানোয় তারল্য বেড়েছে। প্রবাসী আয় বেশি আসছে। সরকারও এখন কম ঋণ নিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রদানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ তারা যে হারে আমানত পাচ্ছে, সেভাবে বিনিয়োগ করছে না। এসব কারণে ব্যাংকগুলোয় দিন দিন তারল্য বেড়েছে।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোতে গত ফেব্রুয়ারিতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নেওয়ার চাপ বাড়ে। এতে মার্চ শেষে অতিরিক্ত তারল্য কমে ৮৯ হাজার ৯০৯ কোটি টাকায় নামে। এমন অবস্থায় ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর) কমানো হয়।

ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকা অর্থ থেকে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা ফেরত পায় ব্যাংকগুলো। তাই এপ্রিল শেষে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে হয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা আরও বেড়ে জুলাইয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা এবং আগস্টে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকায় ওঠে। ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা জোগান দিয়েছে।