দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বনগ্রাম ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নতুন নিয়োগকৃত নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে একই নিয়োগ বোর্ড থেকে অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার অপর চাকুরী প্রার্থী ও তার সহযোগীরা।

জানা যায়, গত ২৭ আগষ্ট বনগ্রাম ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে ৬ জনের মধ্যে থেকে রফিকুল ইসলামকে ও আয়া হিসেবে ৪ জনের মধ্য থেকে তানজিলা আক্তারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় নিয়োগ বোর্ডে বোর্ড প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি ও জেলা শিক্ষা অফিসার আফতাবুর রহমান হেলালি, সদস্য হিসেবে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসাইন মোল্লা, মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী আশু মিয়া, সদস্য কামাল হোসেন, অত্র মাদ্রাসা সুপার ইউনুস আলী।

এদিকে উল্লোখিত নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় নাজিমুদ্দিন ওরফে সবুজ নামে এক প্রার্থী নব নিয়োগকৃত নিরাপত্তা কর্মী রফিকুল ইসলামের স্থানীয় ডাক নাম অন্য থাকায় তার সার্টিফিকেট ও তার নিয়োগকে কোন প্রমাণ ছাড়াই অবৈধ ও দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অত্র মাদ্রাসা সুপার ইউনুস আলী ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাত হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

তবে নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের কোন সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি অভিযোগকারী। এমনকি তার নিজেরও স্থানীয় ডাক নামের সাথে সার্টিফিকেট নামের মিল পাওয়া যায়নি এবং নিয়োগের জন্য অর্থ তদবিরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী নাজিমুদ্দিন ওরফে সবুজ এর কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ চাইলে তিনি তার সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন, তার ডাক নামের ভিত্তিতে আমার কাছে মনে হয়েছে নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে, তাই আমি তদন্ত চেয়েছি৷
এছাড়াও, মাদ্রাসা সুপার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অর্থ নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

আরেক অভিযোগকারী ও বনগ্রাম মাদ্রাসার সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক মাতুব্বর কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ফোন কেটে দেন এবং মোবাইল বন্ধ করে রখেন। এরপর একাধিক ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাত হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা নিয়োগ বোর্ডের সদস্যারা নিয়োগের ব্যাপারে শতভাগ স্বচ্ছতা পেয়েই নিয়োগ দিয়েছি।  অর্থের মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগের প্রশ্নে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন অভিযোগের প্রমাণ না দিতে পারলে এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

বনগ্রাম মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট বলেন, নিয়োগের বিধি অনুযায়ী যেসকল কাগজপত্র পাওয়া গেছে তার মাধ্যমেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে আমার তদবির করার ক্ষমতা নেই।

নিয়োগপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সঠিক কাগজপত্রের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েই চাকরী নিয়েছি। এলাকার কিছু বিরোধী দলীয় ও কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। আমি দরকার হলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।