দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) খাত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউনিটের দর বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। অপর দিকে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর কমেছে বীমা খাতে। তবে হঠাৎ করে বীমা খাতের চেয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

এদিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৪টি ইউনিট বা ৯১.৮৯ শতাংশ ইউনিটের দর বেড়েছে। অপরদিকে বীমা খাতে দর কমেছে ৩২টি কোম্পানি বা ৬৬.৬৭ শতাংশের। ডিএসইর কোম্পানি ও ইউনিট গুলোর মধ্যে দর কমতে শুরু করেছে বীমা খাতের কোম্পানি গুলোর। অপরদিকে বাড়তে শুরু করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট গুলোর দর।

তবে লেনদেনের দিক থেকে আজও সবগুলেভ সেক্টোরকে পিছনে ফেলে শীর্ষে অবস্থান করছে বীমা খাত। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৭.২৪ শতাংশ বা ২৪৭ কোটি টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে বীমা খাতে। আগের দিন বীমা খাতের লেনদেন ছিলো ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশের কিছু বেশি। অথাৎ গত দিনের তুলোনায় বীমা খাতে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির দর।

অপরদিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগ ইউনিটের দর বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইর মোট লেনদেনেও বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন। দিন শেষে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫.৮৪ শতাংশ বা ১৪৪ কোটি টাকার কিছু বেশি লেনদেন করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আগের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ শতাংশের কিছু বেশি। আগেরদিনের তুলোনায় ডিএসইর মোট লেনদেনে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এ দিন ফার্মাসিটিক্যাল খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.৬৪ শতাংশ বা ১১৫ কোটি টাকা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮.১৭ শতাংশ বা ৭৪ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭.৭৯ শতাংশ বা ৭০ কোটি টাকা। ফুয়েল এন্ড পাওয়ার খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৬১ শতাংশ বা ৫১ কোটি টাকা।

বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৭৭ শতাংশ বা ৪৩ কোটি টাকা। আর্থিকপ্রতিষ্ঠান খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.০৭ শতাংশ বা ৩৭ কোটি টাকা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৪৫ শতাংশ বা ৩১ কোটি টাকা। আইটি খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.২২ শতাংশ বা ২৯ কোটি টাকা।

খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৪৯ শতাংশ বা ১৩ কোটি টাকা। সিরামিক খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.৪৯ শতাংশ বা ১৩ কোটি টাকা। আবাসন খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১.১২ শতাংশ বা ১০ কোটি টাকা। চামড়া খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ০.৭৪ শতাংশ বা ৬ কোটি টাকা।

টেলিকমিউনিকেশন খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ০.৯৪ শতাংশ বা ৮ কোটি টাকা। ভ্রমণ খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ০.৭৩ শতাংশ বা ৬ কোটি টাকা। সিমেন্ট খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ০.৪৯ শতাংশ বা ৪ কোটি টাকা। পাট এবং পেপার এন্ড প্রিন্টিং খাতে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি টাকার কম।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৯৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১১২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭০৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯২৫ কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৮৮১ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অপরদিকে, দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬১টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা।