দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীনফোনের (জিপি) রেভিনিউ বা টার্নওভারের অর্ধেকের বেশি হয় রবি আজিয়াটার। কিন্তু শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) চাঁদা সংগ্রহ শুরু করা কোম্পানিটির মুনাফা জিপির মাত্র ০.৪৯ শতাংশ। কোম্পানি দুটির ২০১৯ সালের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে গ্রামীণফোন ১২ বছর আগে যেটা করতে পেরেছিল, রবি এখনো তা করতে পারেনি। অথচ কোম্পানিটি গ্রামীণফোনের আগে যাত্রা শুরু করেছিল। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোন প্রতিটি শেয়ার ৭০ টাকা করে ইস্যু করেছিল। কিন্তু রবি আজিয়াটা এখনো শেয়ারপ্রতি ১ টাকাও পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। বরং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর মূল্যায়ন এখনো ঋণাত্মক। রবির প্রসপেক্টাসেই শেয়ার দর মূল্যায়নের এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে যেকোন কোম্পানির শেয়ার দর বিবেচনায় ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে কোম্পানির শেষ ৫ বছরের ওয়েটেড শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নির্ণয় করা হয়। যেটাকে শেষ ৩ মাসের গড় মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দিয়ে গুণ করে শেয়ার দর মূল্যায়ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে রবির শেয়ার দর মূল্যায়ন হয়েছে ঋণাত্মক ১.৪৭ টাকা।

দেখা গেছে, ২০১৯ সালে জিপির টার্নওভার হয় ১৪ হাজার ৩৬৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে কোম্পানিটির ওই বছরে নিট মুনাফা হয় ৩ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে একইবছরে রবির টার্নওভার হয় ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ টাকার। যা জিপির ৫২ শতাংশ। এই টার্নওভারের পরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে মাত্র ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

যা জিপির ০.৪৯ শতাংশ। ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন দিয়ে জিপির ওই বছরে ৩ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়। যাতে শেয়ারপ্রতি হিসাবে মুনাফা (ইপিএস) হয় ২৫.৫৬ টাকা।

অন্যদিকে ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার বিশাল পরিশোধিত মূলধন দিয়ে রবির মাত্র ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়। এই আকাশচুম্বি মূলধন দিয়ে এতো কম মুনাফা করায় কোম্পানিটির ইপিএস নেমে আসে তলানিতে। ওই বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয় ০.০৪ টাকা।