দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে সহযোগিতা করছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামীকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি গণশুনানি শুরু হয়ে শেষ হবে পাঁচটায়। গণশুনানির উদ্বোধন করবেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখবেন কমিশনার আব্দুল হালিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আইপিওর সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসির সূত্র মতে, কোন কোম্পানিকে আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরু হতে প্রায় ৬০ কার্যদিবসের মত সময় অপেক্ষা করতে হয়। অর্থাৎ লম্বা সময়ের অপেক্ষা করতে হয়।

সুতরাং আইপিও অনুমোদনের পর থেকে লেনদেন শুরুর পর্যন্ত সময় কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও সহজ পদ্ধতিতে আইপিওর সাবস্ক্রিপশন শুরু করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

সূত্র জানায়, বিকেল তিনটায় কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ উদ্বোধন অর্থাৎ সূচনা বক্তব্যের পর গণশুনানি শুরু করবেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুর রহমান মজুমদার এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকের এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান। এরপর সাড়ে ৪টায় সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এলিজেবল ইনভেস্টর তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরকে ডিএসইর ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে হবে। এরপর তাদেরকে মেইলের মাধ্যমেই আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানানো হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে কোন কোম্পানিকে আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার পর প্রথম ২০ কার্যদিবসের মধ্যে আইপিও সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এরপর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। তারপর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিও একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। তারপর লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারি অনুষ্ঠানের কিছুদিন পরেই তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায়। তাতে সবমিলে ৬০ কার্যদিবসের মত সময় লাগে কোন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হতে।