দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ তুলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি এসকোয়ার নিট কম্পোজিট। আইপিওতে তোলা অর্থ দিয়ে ভবন নির্মাণ করে এসকোয়ার নিট কম্পোজিট। আর সেই ভবনটি নির্মাণ করছে শেল কোম্পানি পিনাকল কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান, যার ৯৫ শতাংশের মালিকানা আবার এসকোয়ার নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুই মেয়ের।

শুধু তা-ই নয়, ভবনটি যখন নির্মাণ শুরু হয়, তার ১৩ দিন পরই আইনগতভাবে গঠন করা হয় পিনাকল কনস্ট্রাকশন। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের লেনদেনেও অস্বাভাবিক প্রবণতা ছিল। আইপিওর অর্থ ব্যয়ে কোম্পানিটির এসব অনিয়ম-জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে বিশেষ নিরীক্ষায়। এর মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছেন বিশেষ নিরীক্ষক। বর্তমানে এ অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে গত বছরের শুরুর দিকে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে বস্ত্র খাতের কোম্পানি এসকোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি আইপিওর টাকা হাতে পায় একই বছরের মার্চে। সংগৃহীত ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ভবন নির্মাণ ও পূর্ত কার্যক্রমে, ৪৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় যন্ত্রপাতি আমদানি এবং ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করার কথা ছিল।

এর মধ্যে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আইপিও অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম করেছে কোম্পানিটি। কোম্পানিটির আইপিও অর্থ ব্যয়ে অনিয়মের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে এ বিষয়ে বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। এজন্য এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাওলাদার ইউনূস অ্যান্ড কোম্পানিকে বিশেষ নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। চলতি বছরের জুনে বিশেষ নিরীক্ষক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শেল কোম্পানি পিনাকল কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করেছে এসকোয়ার নিট কম্পোজিট। যদিও এ ধরনের কাজের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটির। আইপিওর টাকা হাতে পাওয়ার অনেক আগেই ২০১৮ সালের ১৯ মে এসকোয়ার নিট কম্পোজিট পিনাকল কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। অথচ আইনগতভাবে তখনো কোম্পানিটি গঠিতই হয়নি। দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) পিনাকল কনস্ট্রাকশন নিবন্ধিত হয় ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট। আর ট্রেড লাইসেন্স পায় একই বছরের ১০ অক্টোবর।

পিনাকল কনস্ট্রাকশনের ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল হাবিবের দুই মেয়ে আয়েশা হাবিব ও তামান্না হাবিব। তাদের দুজনের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ১ লাখ করে শেয়ার রয়েছে। অফার ডকুমেন্ট ও অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঠিকাদারের কোনো স্বাক্ষর ছিল না। এমনকি ভেন্ডর নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্কোরশিটে কোনো তারিখও ছিল না। এসকোয়ার নিটের সঙ্গে পিনাকলের ভবন নির্মাণ চুক্তিতে পিনাকলের ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।

ভবন নির্মাণের চুক্তি করার পর পিনাকল সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং, কেএসআরএম ও ক্রাউন সিমেন্ট কংক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রডাক্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ ও পূর্তকাজ করিয়েছে। যদিও এসব প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ইনভয়েস পিনাকলের পরিবর্তে সরাসরি এসকোয়ার নিটের সঙ্গে করা হয়েছে।

পিনাকলকে বাছাই প্রক্রিয়ায়ও অনিয়ম ও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্ববর্তী কাজের প্রোফাইল হিসেবে এসকোয়ার গ্রুপের আটটি ভবনের ছবি দেয়া হয়েছে। অথচ এ ভবনগুলো পিনাকল গঠন হওয়ার আগেই তৈরি করা হয়েছিল। আরো অবাক করা তথ্য হচ্ছে, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট এসকোয়ার নিটের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর ১৩ দিন পর আইনগতভাবে পিনাকল কনস্ট্রাকশন নামক প্রতিষ্ঠানটি গঠন করা হয়।

পিনাকল কনস্ট্রাকশনের গঠন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক প্রবণতা দেখা গেছে। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভবন নির্মাণ ও পূর্তকাজের বিপরীতে ৪৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিল জমা দিয়েছে পিনাকল। অথচ এর বিপরীতে পিনাকলকে ৯৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এসকোয়ার নিট। এ বিষয়ে বিএসইসির কাছে এসকোয়ার নিটের পক্ষ থেকে দেয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে রড, সিমেন্ট ও স্টিলের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাড়তি অর্থ প্রদান করা হয়েছে। যদিও গত বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রড ও সিমেন্টের বিল ছিল ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে পিনাকলকে দেয়া হয়েছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে রডের দামের ওঠানামা ৬ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

আইপিওর অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর এসকোয়ার নিটের ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে পিনাকলের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৯৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। যেদিন এসকোয়ার নিটের আইপিও অ্যাকাউন্ট থেকে পিনাকলের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে সেদিনই আবার পিনাকল ৭১ কোটি ২০ লাখ টাকা এসকোয়ার নিটের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পুনঃস্থানান্তর করেছে।

নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে আইপিওর অর্থ ব্যয়ে এসকোয়ার নিটের অনিয়মের বিষয়ে বলা হয়েছে, সম্পৃক্ত পক্ষ বা রিলেটেড পার্টির সঙ্গে লেনদেনের বিষয়টি আর্থিক প্রতিবেদেনে উল্লেখ করতে হয়। এসকোয়ার নিটের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে সম্পৃক্ত পক্ষের লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও সেখানে এসকোয়ার নিটের সঙ্গে পিনাকলের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়নি। তাছাড়া পিনাকলের সঙ্গে এসকোয়ার নিটের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও এক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

সম্পৃক্ত পক্ষের সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের বিষয়ে ২০০৯ সালের ১ জুন জারি করা বিএসইসির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি এর কোনো পরিচালক কিংবা পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ছাড়া স্থায়ী সম্পদ কিংবা রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণ সম্পদ কেনাবেচার চুক্তি করতে পারবে না। এসকোয়ার নিট পিনাকলের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি, যদিও এক্ষেত্রে পিনাকলের সঙ্গে কোম্পানিটির লেনদেনের পরিমাণ স্থায়ী সম্পদের ১ শতাংশের বেশি।

এসকোয়ার নিট আইপিও প্রসপেক্টাসেও অসত্য তথ্য দিয়েছে। সেখানে সম্পৃক্ত পক্ষের লেনদেনের ক্ষেত্রে পিনাকলের বিষয়টি গোপন করা হয়েছে। অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে মূসক কেটে রাখার নিয়ম থাকলেও পিনাকলকে পরিশোধ করা অর্থের বিপরীতে কোনো ধরনের মূসক কেটে রাখেনি এসকোয়ার নিট। তাছাড়া স্ট্যাম্প অ্যাক্ট ১৮৯৯ অনুসারে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি ৩০০ টাকা স্ট্যাম্পে লিখে রাখতে হয়। অথচ পিনাকলের সঙ্গে চুক্তিটি এসকোয়ার নিটের লেটারহেডে লেখা হয়েছে।

আইপিও প্রসপেক্টাসের তথ্যানুসারে পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থে এসকোয়ার নিট কারখানার জন্য দুটি ছয়তলা ভবন ও চারতলাবিশিষ্ট একটি ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি আইপিওর অর্থে ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে, যা আইপিও প্রসপেক্টাসে দেয়া ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

নিরীক্ষক তার প্রতিবেদনে আরো জানিয়েছেন, পিনাকলকে ভেন্ডর হিসেবে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত অনিয়ম করা হয়েছে। পিনাকল একটি শেল কোম্পানি। তাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এটি এসকোয়ার নিটের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং তাদের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পিনাকলকে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা প্রদানের বিষয়টি প্রমাণ করে এসকোয়ার নিটের করপোরেট সুশানের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। এসকোয়ার নিট উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিনিয়োগকারীদের অর্থ পিনাকলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছে এবং একইভাবে আবার পিনাকলের অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেদের অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছে। এছাড়া কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবেই সম্পৃক্ত পক্ষের মধ্যে লেনদেন ও চুক্তির বিষয়টি নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে গোপন করেছে বলে মনে করছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক তার প্রতিবেদনে বেশকিছু বিষয়ে আরো বিশদ পর্যালোচনা করার সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে পিনাকলের ব্যাংক স্টেটমেন্টের রিসিট ও পেমেন্টের বিষয়টি তদন্ত করা, এ ধরনের লেনদেনের যৌক্তিকতা এবং অর্থ বাংলাদেশের মধ্যে নাকি অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা, এসকোয়ার নিটের সব ধরনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সেগুলোর লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সব লেনদেনের যুক্তিযুক্ততা এবং পিনাকল, শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং, কেএসআরএম ও ক্রাউন সিমেন্ট কংক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রডাক্টস লিমিটেডের মধ্যে বন্দোবস্তের বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন নিরীক্ষক।

দেশের বাইরে থাকার কারণে আইপিও তহবিলের অর্থ ব্যয়ে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল হাবিবের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে এসকোয়ার নিটের কোম্পানি সচিব মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তার (সিএফও) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে সিএফও মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিশেষ নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসকোয়ার নিটের আইপিওর অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য চলতি বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসির উপপরিচালক মোল্লাহ মো. মিরাজ-উস-সুন্নাহ, সহকারী পরিচালক মো. বনি ইয়ামিন খান ও তৌহিদ হোসেনের সমন্বয়ে তিন সদ্যসের একটি কমিটি গঠন করেছিল বিএসইসি। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির একজন সদস্য কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে তদন্তের কাজ পিছিয়ে যায়। এজন্য কমিটির পক্ষ থেকে আরো ৩০ কার্যদিবস সময় চাওয়া হয়েছে এবং কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে।

এদিকে কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারসংক্রান্ত প্রতিবেদন নিরীক্ষা করেছে মালেক সিদ্দিকী ওয়ালি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের সম্পৃক্ত পক্ষ পিনাকল কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়টি এ নিরীক্ষকের পর্যবেক্ষণে উঠে আসেনি। বিএসইসি কর্তৃক বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ করার পর মালেক সিদ্দিকী ওয়ালি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আইপিওর তহবিল ব্যবহারসংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের আইপিও তহবিল ব্যবহারের বিষয়ে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের অক্টোবর শেষে কোম্পানিটি ভবন নির্মাণ ও পূর্ত কার্যক্রম বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যন্ত্রপাতি বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার পুরোটাই খরচ করেছে। সব মিলিয়ে এ সময়ে কোম্পানিটি মোট আইপিও তহবিলের ৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। অব্যবহূত রয়েছে ৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এসকোয়ার নিটের আইপিওর অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিএসইসির কমিটি কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা আরো ৩০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত শেষে কোম্পানিটি কোন কোন আইন ও বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং এজন্য কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।