দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সম্প্রতি পুনরায় লেনদেন শুরু করা রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম সাড়ে সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি উৎপাদনে ছিল। এরপর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়ায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। রহিমা ফুডের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়ে ডিএসইর পাঠানো এক চিঠির জবাবে কোম্পানিটি এ কথা জানিয়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে রহিমা ফুড শেয়ারহোল্ডারদের আরো জানিয়েছে, নারিকেল তেল উৎপাদন ও বিপণনের নতুন একটি প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান। আগামী মে মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুনে এ প্রকল্পে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে কোম্পানিটি ধারণা করছে।

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রহিমা ফুডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৬৩ পয়সা।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে রহিমা ফুডের শেয়ার লেনদেন পুনরায় শুরু হয়। এক্সচেঞ্জটিতে এ শেয়ার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশনকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। তবে সিএসই কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুতির পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করেছিল।

রহিমা ফুডের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২০০। এর ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।