তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে চলছে নয়ছয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে অবৈধ লেনদেন, অনুমোদন ছাড়া শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কয়েকজন পরিচালক নিয়ম ভেঙে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির আমানত এবং ঋণের তথ্য আড়াল করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গোপনে অর্থ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া শিরোনামে উত্তরা ফিন্যান্স থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য পেয়েছে।

এছাড়া বনেদি উত্তরা মোটরস জড়িয়ে পড়েছে আর্থিক অনিয়মে। উত্তরা মোটরসের হাত ধরে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের যাত্রা শুরু হলেও সেই প্রতিষ্ঠানকেই গিলে খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছে উত্তরা মোটরস। এরই মধ্যে উত্তরা ফাইন্যান্সের ৩৩৫ কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছে তারা। এর বাইরে কয়েকজন পরিচালক বিভিন্ন নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে টাকা বের করে নিয়েছেন।

সে অর্থ তারা পুঁজিবাজারে খাটিয়েছেন, নিজের ব্যবসাতেও ব্যবহার করেছেন। এভাবে আরও ৫২১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন তারা। শুধু পরিচালকরা নন, লুটপাটের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন না।

এমডি গাড়ি-বাড়ি কিনতে ও ছেলের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে নিয়েছেন প্রায় ২৪ কোটি টাকা। পরিচালক ও এমডি মিলে যেসব অর্থ নিয়েছেন, সেগুলোর বিষয়ে পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হয়নি। এমনকি এসব অর্থের বিষয়ে অনেক নথিপত্রও মিলছে না। ইলেকট্রনিক নথিও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এসব লেনদেনের। এতে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে আমানতকারীদের অর্থ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

এদিকে নথিপত্র গায়েব করে ফেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারছে না। যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে নতুন করে ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব বিষয় যুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও পদে বহাল রয়েছেন অবৈধ সুবিধা নেয়া এমডি ও পরিচালকরা। উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে উত্তরা মোটরস, এমডি ও পরিচালকদের মোট হাতিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ও গ্রাহকের জমানো টাকা হিসাবে জমা হয়নি। ঋণের তথ্যও গোপন করা হয়েছে। কলমানির ধারের টাকা একজন পরিচালক ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। অনুমোদন ছাড়া পরিচালকদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে নিজের কাজে লাগিয়েছেন।

এভাবে আমানতকারীদের অর্থ নিয়ে যথেচ্ছাচার হয়েছে উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কয়েকজন পরিচালক নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময়ে তিন হাজার ৪৪০ কোটি টাকা বের করে ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন।

উত্তরা ফিন্যান্সের ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ওপর পরিদর্শন করতে গিয়ে গুরুতর এসব অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন সদস্যের পরিদর্শক দল প্রায় চার মাস পরিদর্শন শেষে সম্প্রতি এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিদর্শন শুরুর পর একটি প্রভাবশালী গ্রুপ তা থামাতে চেষ্টা করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তক্ষেপে পরিদর্শন শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরা ফিন্যান্সের বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে এক হাজার ৮০৩ কোটি টাকা লিজ অর্থায়ন বা ঋণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অথচ ব্যাংকটির লেজার ব্যালেন্স পর্যালোচনায় তিন হাজার ৮০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। আবার এক হাজার ৮৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত দেখানো হয়েছে আর্থিক বিবরণীতে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই হাজার ৬০৩ কোটি ২০ লাখ টাকার মেয়াদি আমানতের তথ্য পেয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আমানত ও ঋণের প্রকৃত তথ্য আড়াল করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গোপনে টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত আমানত দায় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গোপন করে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ আর্থিক কর্মকাে লিপ্ত বলে পরিদর্শক দল মন্তব্য করেছে।

সূত্র বলছে, প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে পর্ষদ ভেঙে দিয়ে এবং এমডিকে সরিয়ে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে একজন নির্বাহী পরিচালকের চাপে সে বিষয়টি আর এগোয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এখন চুপ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উত্তরা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আরেফীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নামে কিছু ভুল ঋণ সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি কেনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের জন্য, কিন্তু ঋণ হয়েছে আমার ব্যক্তিগত নামে। অন্যের ঋণ আমার নামে দেখানো হয়েছে। প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এ ভুল করেছিলেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অন্যদের নামে যেসব ভুল ঋণ গিয়েছিল, তা ফেরত এসেছে।

এছাড়া পরিদর্শনে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সেগুলো অনেক আগের ঘটনা। ছেলের জন্য নেয়া টাকাগুলো বেশিরভাগই এখন অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের চার পাতার চিঠি পাঠিয়েছে। আর আমি ১০০ পাতার জবাব দিয়েছি। পরিদর্শন এখনও চলমান। এটা শেষ হলে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানা যাবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রস্তুত করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই প্রতিবেদনের ৬০ শতাংশই ভুল আছে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, উত্তরা ফাইন্যান্সের কয়েকজন পরিচালক ও এমডি সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে আমানতকারী ও অন্য সংশ্লিষ্টদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন। আবার প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত আর্থিক তথ্যেরও কোনো খোঁজ মিলছে না।

জানা যায়, উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে উত্তরা মোটরস ও উত্তরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন ৩৩৫ কোটি টাকা নিয়েছে। উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান উত্তরা ফাইন্যান্সেরও ভাইস চেয়ারম্যান। এই প্রভাব খাটিয়ে তিনি অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি থেকে টাকা সরিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি উদ্ঘাটন করার পর এখন অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মতিউর রহমান। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

উত্তরা ফাইন্যান্সের ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজারের মার্জিন ঋণের ঋণ ছিল ৫৯৭ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিস্তারিত জানতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, উত্তরা ফাইন্যান্সের সিএফও উত্তম কুমার সাহা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির নথিপত্র বা সিস্টেমেও এসব তথ্য নেই। আবার ৩৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সের বিভিন্ন পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে।

ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো প্রকার আবেদন, প্রস্তাব বা অনুমোদন ছাড়া পরিচালকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমানতকারীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। পরিচালকদের নির্দেশে এবং এমডি ও সিএফওর স্বাক্ষরে পরিচালকদের সংশ্লিষ্ট হিসাবে টাকা জমা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা হয় এক হাজার ২০১ কোটি টাকা। তবে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে ৩১১ কোটি টাকা। ২০১৯ সাল শেষে অগ্রিম ও আগে পরিশোধ খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৯৯ কোটি টাকা। কারা এত অগ্রিম অর্থ নিয়েছেন, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি উত্তরা ফাইন্যান্স। আবার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাশেদুল হাসান নিয়মের বাইরে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উত্তরা ফাইন্যান্স পরিদর্শন করে দেখেছেন, এমডি এসএম শামসুল আরেফিন কোনো অনুমোদন ছাড়াই ব্যবস্থাপনা ব্যয় শিরোনামে ২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। এর মধ্যে এমডির পক্ষে সাউথ ব্রিজ হাউজিংকে ছয় কোটি ২৪ লাখ টাকা, বে ডেভেলপমেন্টকে এক কোটি টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে ডিএইচএসকে ৫০ লাখ টাকা ও উত্তরা মোটরসকে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

এমডির টাকা উত্তোলনে প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের অনুমোদন ছিল না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবার উত্তরা ফাইন্যান্সের পরিচালক মুজিবুর রহমান ব্লু চিপস সিকিউরিটিজের কর্ণধার। এ প্রতিষ্ঠানের ২৩৬ কোটি আমানত জমা হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সে। তবে এর বিপরীতে কোনো বৈধ নথিপত্র সংরক্ষিত নেই। ফলে আদৌ এ টাকা জমা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। যদি কোনো ব্যাংক এ আমানতের বিপরীতে ঋণ দেয়, তার পুরো দায় উত্তরা ফাইন্যান্সের ওপর বর্তাবে।

এ বিষয় সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, উত্তরা ফাইন্যান্সের আর্থিক বিবরণীতে গড়মিলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখনও সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাটি টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করায় আমরা এখন যাচ্ছি না। তবে তাদের কাজটা শেষ হলে সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

এসব বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনে নেমেছে এটি নিঃসন্দেহ ভাল উদ্যোগ। এমন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত বিবরণী সন্দিহান হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পরিদর্শনে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডির গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণে ২৪ কোটি টাকা তুলেছেন। যা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ বলেন, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডসহ দেশের অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নাজুক অবস্থা। এসব বিষয়ে আমরা যারা আলোচনা করছি, এতে লাভ হচ্ছে না। যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করার দরকার তারা এসব আলোচনা বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেন না।