তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার ধসের ১০ বছর পর করোনার মধ্যে সরকারের নানামুখী উদ্যোগে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে। পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বিভিন্ন পদক্ষেপ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দরের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। অনেক শেয়ারের দর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর গতি ফিরে আসায় সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরাও ফিরে এসেছেন বাজারে।

ফলে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সূচকও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পুঁজিবাজারের এমন চাঙ্গাভাবের মধ্যেই কারসাজি হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখতে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় তদন্তে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ওই নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগের দিনের বড় উত্থানের পর আজ দিনের প্রথমভাগে বাজারে বড় দর পতন হয়। যদিও পরে সূচকের অনেকটা পুনরুদ্ধার ঘটে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিষয়টি না বুঝে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়েছেন। বিএসইসির নির্দেশনা দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। এদিকে গতকাল পুঁজিবাজারে সূচকে বড় ধরনের ধস নেমে। এদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৯ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি শেয়ার দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৪০পয়েন্টে, সিএসই ৫০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭২ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১৪৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ১৯৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির শেয়ার দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।