আমিনুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক উত্থান চলছে। বিনিয়োগবান্ধব পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে ‘ধারাবাহিকতা’ ধরে রাখাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ । এখন পর্যন্ত বাজার বিশ্লেষণে ‘ধারাবাহিক বাজারে’র প্রমাণ মিলছে হাতেনাতে। ২০১০ সালের ধসের ১০ বছরের মাথায় আবারও গতি এসেছে পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে। নতুন বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি নিষ্কিয় বিনিয়োগকারীরাও আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বাজারে। এতে বাজারে লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে সূচকও।

নতুন করে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছেন বাজারে। তবে ২০১০ সালের ধসের পর ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিষ্প্রভ ছিল দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি। একের পর এক বাজে আইপিও, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদূরদর্শিতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় তলানিতে নেমে আসে বাজার। এরই মধ্যে চলতি মার্চে দেশে মহামারী করোনা সংক্রমণে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি স্মরণকালের সবচেয়ে মন্দাবস্থায় চলে যায় এবং বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন কমিশনের উদ্যোগে গত জুন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার।

মহামারীর মধ্যে লেনদেন পুনরায় শুরুর মাত্র তিন মাসেই চাঙ্গাভাব ফিরে আসে, যা বছরের অবশিষ্ট সময়েও অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে। সরকারি উদ্যোগ ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) নতুন কমিশনের কিছু কার্যকরী পদক্ষেপে দশ বছর পর প্রাণ ফিরে পায় বাজার। তলানিতে নেমে যাওয়া পুঁজিবাজারে সহায়তা করতে ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি নির্দেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণসহ জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন ও সুশাসনে পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করেছে। ফলে করোনার মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দিনের লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। লকডাউন-পরবর্তী সূচকে বড় উত্থানের কারণে গত আগস্টে বিশ্বসেরা পুঁজিবাজারে অভিহিত হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

এদিকে গতিশীল পুঁজিবাজারের মূলধনেও গত সপ্তাহে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে। আলোচ্য সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৬ হাজার ৮৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার ২৭০ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূলধন ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৩১ হাজার ৪৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং সিএসইতে বেড়েছে ২৫ হাজার ৪২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৬ হাজার ৮৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৯ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৯৫১ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭০ টাকা। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮৪ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৯০ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭৪ টাকা।

এদিকে করোনার প্রভাবে সারা পৃথিবীর অর্থনীতিতে টালমাতাল অবস্থা বিরাজ করলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। টানা মূল্য সুচকের উত্থান, রেকর্ড মুলধন, দৈনিক লেনদেনে বাড়বাড়ন্তের জন্য দেশের পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইছে। মুলত পুঁজিবাজারের এ উত্থানের পেছনে ৯ ইস্যু রয়েছে:

সরকারের ইতিবাচক মনোভাব: ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে পুঁজিবাজারে ধস নামে, লুটপাট হয়’ বিনিয়োগকারীদের এমন ধারণা বদলাতেই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে মনোযোগী সরকার। বিনিয়োগকারীদের সমর্থন আদায়ের জন্য ইতোমধ্যে বাজার স্থিতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে গত কয়েক মাস ধরে চাঙা হয়ে উঠেছে পুঁজিবাজার।

করোনার টিকা: পুঁজিবাজারের এই রমরমা অবস্থার পেছনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর কাজ করছে। তবে ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে করোনা ভাইরাসের টিকার আমদানির বিষয়টি। দেশের প্রধান ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস করোনার টিকা আমদানির সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সব ঠিক থাকলে বেক্সিমকো আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আনছেভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা। এর প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।

অলস টাকা পুঁজিবাজারে আনতে বিনিয়োগ নীতিমালা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের অদাবিকৃত অলস পড়ে থাকা ২১ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য একটি বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে কমিশন। সূত্রমতে, নীতিমালার আওতায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলিস্টমেন্ট ফান্ড অব বিএসইসি’ নামে একটি ফান্ড গঠন করবে কমিশন।

ফান্ডের প্রাথমিক মূলধন হবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। ফান্ড পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হবে। কমিটিতে বিএসইসি থেকে চার জন,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিসিবিএল) থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকবে । তবে কমিটি গঠনে প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তিতে সিদ্ধান্ত বদলও হতে পারে। কমিশনের এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলেছে।

লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম: জানুয়ারি থেকে জুন মাস লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম হিসেবে পরিচিত। গত ডিসেম্বর মাসে যেসব কোম্পানির অর্থবছর সমাপ্ত হয়েছে তার কয়েকটি ভালো লভ্যাংশ দিবে এমন গুজবকে কাজে লাগাতে চান একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। তারা এসব কোম্পানির শেয়ার কম দামে ক্রয় করে রেখেছেন। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ায় বাজার নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে।

বিনিয়োগ সুরক্ষা তহবিল: বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ‘ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড বা বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল’ গঠন করার ঘোষণায় বাজারে চাঙ্গা প্রবণতা তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশের টাকা কিংবা ওয়ারিশ দাবিহীন টাকার সমন্বয়ে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার সুরক্ষা তহবিল গঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস দীর্ঘদিন ধরে বিতরণ হচ্ছেনা সেসব শেয়ারের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া প্রায় শেষ হয়েছে। এর প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে।

আইপিও অনুমোদনে গতি: ২০১৯ সালে মাত্র চার কোম্পানি আইপিও প্রক্রিয়ায় ২১৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছিল। নতুন কমিশন আসার পর মাত্র ছয় মাসে ১৩ কোম্পানি আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় কোম্পানিগুরো এক হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি মূলধন সংগ্রহ করেছে বা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় আছে। দেশের নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো পুঁজির প্রয়োজনে যাতে পুঁজিবাজারমুখী হয়, সেজন্য বিদ্যমান আইনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন আইনে আইপিও আবেদন করে অনুমোদন পেতে অপেক্ষা করতে হবে বড়জোর তিন মাস। এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা অনেকগুলো আইপিওর অনুমোদন দিয়েছি। এতে বাজারে কোন ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

পুঁজিবাজারে ওয়ালটন, রবি: ওয়ালটন, রবি আজিয়াটার মতো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসায় পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়েছে। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোনের অভিষেকের দিনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সে সময়কার প্রধান সূচকটি ৭৬৫ পয়েন্ট বেড়েছিল। গত ২৪ ডিসেম্বর রবি আজিয়াটার অভিষেকের দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৫ পয়েন্ট বা প্রায় পৌনে ২ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৭০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

ব্যাংকের সুদের হার কম: বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার কম। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংকে টাকা রেখে জমাকারীরা আদতে কোন মুনাফা ঘরে আনতে পারছেন না। এজন্য বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন বেশি।
স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা: বর্তমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে পুঁজিবাজার অস্থির হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে বিধায় বিনিয়োগকারীরা ভরসা পাচ্ছেন।

বড় বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা: দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল থাকায় বাজারে নিষ্কিয় ছিলেন ব্যক্তি শ্রেণির বড় বিনিয়োগকারী বা গেমলাররা। লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম, বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব এবং বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ায় আবারও সক্রিয় হয়েছেন তারা। তাদের সক্রিয়তায় আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে পুঁজিবাজার।

আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকায় বাজার উর্ধ্বমুখী প্রবনতা বিরাজ করছে।

এছাড়া পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তেমনি সামনের দিনগুলোয় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুঁজিবাজারও আরো গতিশীলতা হবে বলে মনে করছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে এখন সুশাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। বর্তমান কমিশনের যুগান্তরকারী কিছু পদক্ষেপের কারণে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে পুঁজিবাজারে। পরিচালকদের শেয়ার ধারণে বাধ্যবাধকতা, কোম্পানির অনিয়মে বিএসইসির জিরো টলারেন্স, মিথ্যা তথ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইপিও প্রক্রিয়া বাতিল করা হচ্ছে।

এসব কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। বর্তমান সময়ে ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ। কোনো কোনো ব্যাংক আমানত নিচ্ছে না। যার কারণে দলে দলে মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে এই বাজার স্থিতিশীল হবে বলেই ধারণা ডিএসইর সাবেক এই সভাপতির।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার সঠিক লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে নতুন কমিশন বড় ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া বাজার সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারাও কাজ করছেন। বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে সচেতন হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরকে আরও জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। সেটা না হলে পুঁজিবাজার বিপরীত দিকে মোড় নিতে পারে। সবচেয়ে আশার কথা হলো এই স্থিতিশীল বাজার সহসাই অস্থিতিশীল হওয়ার কোন কারণ দেখছেন না তিনি।