দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সতর্ক করার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বীমা খাতের শেয়ারগুলো উল্টা পথে হাঁটছে। সকাল থেকেই বিমা খাতের শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে। শেষ বেলায় দুই একটি কোম্পানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও পতন থেকে বের হওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবারের উল্টো চিত্র বৃহস্পতিবার।

দুই দিন আগে সর্বাধিক দর বৃদ্ধির সব কোম্পানি যেখানে ছিল বিমা খাতের, সেখানে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানিই এই খাতের। দুই একটি বাদে বিমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। এই খাত নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাম্প্রতিক চিঠির পর এক দিন হুলস্থুল হলেও টানা দুই দিন পতন দেখল।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানির মূলধনের ৬০ শতাংশ পরিচালকদের সংরক্ষণ করতে হবে এক মাসের মধ্যে। আর সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ কোটি আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ৩০ কোটি।  এটি নতুন কোনো নির্দেশনা নয়। তবে বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক চিঠিতে এক মাসের মধ্যে দুই শর্ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার একটি অনলাইনে এই নির্দেশনার খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার বাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশের মতো বেড়ে যায়। এক দিনে এর চেয়ে বেশি শেয়ার দর বাড়া সম্ভব নয়। তবে বুধবার দর হারায় ৩১টি কোম্পানি।

দর ধরে রাখে পাঁচটি। বৃহস্পতিবার আরও মন্দা গেল বিমা খাতে। চারটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, দুটি কোম্পানি দর ধরে রেখেছে। পতন হয়েছে বাকি ৪৩টির।আগের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক মতবিনিময়ে এই খাতের শেয়ার নিয়ে সতর্ক করা হয় বিনিয়োগকারীদের।

বুধবারের সেই মতবিনিময়ে ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘বিমা সম্পর্কে আইডিআরএ যে নির্দেশনা দিয়েছে তার ব্যাখ্যা ওই সংস্থা দিতে পারবে। তবে বিনিয়োগকারীদের সব কিছুর ব্যাখ্যা জেনে শেয়ার কেনা উচিত।’

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সকাল থেকেই বিমা খাতের শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে। শেষ বেলায় দুই একটি কোম্পানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও পতন থেকে বের হওয়া যায়নি। এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির সবকটিই বিমা খাতের।

বৃহস্পতিবার বিমা খাতের সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন দেখল পুঁজিবাজার সেই চিঠি নিয়ে আইডিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল আরও ছয় মাস আছে। তা পরিপালনে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল বিমা কোম্পানিগুলো। যদি কোম্পানিগুলো তা পূরণ করতে না পারে, তাহলে পরে এ নিয়ে আবার সিদ্ধান্ত হবে। বিমা খাতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। পতনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পিপলস ইন্স্যুরেন্স, যার দর কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আরও দর হারিয়েছে নর্দান ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।