দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসই’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক এর বিদায় সংবর্ধনা আজ অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান। ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যগণ ও ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৯ সালের ২৬ শে জুন ডিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। ডিএসই’র একজন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে তিনি পুরো কার্যকালীন সময় জুড়ে বিচক্ষণ নির্দেশিকার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্টকে সমৃদ্ধ করেছেন৷

এছাড়াও তিনি রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটি, নমিমেশন এন্ড রেমুনারেশন কমিটি, আইপিও রিভিউ টিমের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে এবং আপিল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে উনার সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়৷ তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। তার এই কর্মকান্ডের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সব সময়ই তাকে স্মরণ রাখবে।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরীন, মোঃ মুনতাকিম আশরাফ, হাবিবুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ, শেয়ারহোল্ডার পরিচালকবৃন্দ মোঃ রকিবুর রহমান, মোঃ শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মতিন পাটওয়ারী৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জিয়াউল করিম, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, জিএম মোঃ ছামিউল ইসলাম, জিএস এন্ড কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান এবং সিনিয়র ম্যানেজার এস এম শহীদুল্লাহ৷

পরিশেষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত দেড়বছর যাবত ডিএসইতে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে সৃষ্টিকর্তার কাছে কতৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি৷ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, যার স্বপ্নের কারণে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, আর বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই আজ বোর্ড অব ডিরেক্টরে আমরা বাঙালিরা বসে আছি, তা না হলে এখানে আজকে হয়ত কোন পাজ্ঞাবী বিগ্রেডিয়ার থাকত। সকল বোর্ড অব ডিরেক্টররা বা চেয়ারম্যানও হয়ত হতেন কোন মারওয়ারী, পাঞ্জাবী৷ সে জন্য শোকরিয়া আদায় করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী প্রতিও উনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, ডিএসই অর্থনীতির প্রতীক হিসেবে সবার কাছে বিরাজমান এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা ভিওি হিসেবে তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে অখ্যায়িত করে বলেন, যোগদানের পরে বোর্ডের সকল সদস্য আমাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং সহযোগিতা পূর্ণ আচরণ করেন। বোর্ডে যোগদান করার পর তিনটি উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অফিসকে মতিঝিল থেকে নিকুঞ্জে স্থানান্তরকরণ, মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা উত্‌যাপন এর সফল আয়োজন এবং মুজিব কর্নারের সফল স্থাপনা।

এটার জন্য তত্‌কালীন বোর্ডকে উনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের স্বার্থে সরকারের স্বার্থে এবং সর্বোপরি সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে কাজ করার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডিএসই সবসময় দেশের অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্রিয় থাকবে।