দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বিএসইসির ৫৭৯তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পরিশোধে ব্যর্থতার বিষয়ে ডিপজিটরি আইন ১৯৯৯ এর ১৩ ধারা মোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। একই সাথে তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।

২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীদেরকে কুরিয়ার সার্ভিসে করে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পাঠানোর কথা জানায়। কিন্তু আসলে লভ্যাংশ পাঠানো হয়নি। বিনিয়োগকারীদরে জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা বণ্টন করেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ৩০ জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালে তালিকাভুক্তির বছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও পরের তিন বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। এরপর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনার পর মুনাফা দেখিয়ে ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় সুহৃদ।

ওই বছর কোম্পানির শেয়ার দরে উল্লম্ফন হয়। আট টাকার শেয়ারের দর উঠে ৪০ টাকার বেশি। পরের বছরের ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ঘোষণা করা হয় ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদ লভ্যাংশ। কিন্তু সেই টাকা বিনিয়োগকারীদেরকে আয় দেয়নি সৃহৃদ। যদিও ডিএসইর ওয়েসাইটে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীদেরকে কুরিয়ার সার্ভিসে করে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পাঠানোর কথা জানায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখন নগদ লভ্যাংশ বিএফটিএনের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে সুহৃদ সনাতন পদ্ধতিতে কুরিয়ারে করে কেন লভ্যাংশ পাঠালো, তা নিয়ে সে সময়ই প্রশ্ন উঠে। পরে জানা যায়, আসলে কোম্পানিটি লভ্যাংশ পাঠায়নি।

এজন্য ডিপজিটরি আইন ১৯৯৯ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।