আল আমিন: যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অতি মুনাফা লোভ পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করছে। পুঁজিবাজারের প্রাণ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের সহায়তা করার লক্ষ্যে বর্তমান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সফল উদ্যোগের মধ্যে আইপিও শেয়ার বরাদ্দের নতুন নিয়ম যা আগামী এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।

নতুন এই উদ্যোগ বাজার সংস্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু এই যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অতি মুনাফা লোভ সকল উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হল এনার্জিপেক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। মোট ৪০২৯৩৫৬৫ সাধারণ শেয়ারের মধ্যে ৩৫ টাকা মূল্যে ২০১৪৬৭৬৬ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীরা পান। ১৯ জানুয়ারি২০২১ তারিখে শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা এই শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণেই, শেয়ারটির বাজার দর ২৬ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১০১.৮০ হয়।
কিন্তু একই দিনের শেষে শেয়ারের বাজারদর ৮৩.৪০ টাকা হয়।

ওইদিন সর্বোচ্চ ১২১৮০৫৭৬ শেয়ার লেনদেন হয়। এখন প্রশ্ন হলো যদি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ার পেত, এত অস্বাভাবিক দরের উত্থান বা পতন কোনটি একদিনে করতে পারতোনা। এই বাজারে আস্থা রেখে যারা বিনিয়োগ করলো একদিনেই তাদের ২০% পুঁজি শেষ। শুধু এটা না, ওয়ালটনের শেয়ারের ক্ষেত্রেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বশান্ত করা হয়েছিল।

তাই আমি মনে করি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে,যতই উদ্যোগ নেওয়া হোক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আগামী মঙ্গলবার মির আক্তারের লেনদেন শুরু হলে একই চিত্র দেখা যাবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কি করবে? প্রশ্ন রয়ে গেল।

আল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক,
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।