দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ওয়াটা কেমিক্যালের মুনাফা নিয়ে কারসাজি র অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্লান্টের উপর অবচয় চার্জ না করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা বেশি মুনাফা দেখিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই অর্থবছরের জন্য একই পরিমাণ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) বেশি দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে নিরীক্ষক কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন দিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ ব্যবহার না করার যুক্তিতে লাবসা ও বিসিপি প্লান্টের উপর অবচয় চার্জ করে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)- ১৬ এর ৫৫ ধারা অনুযায়ি, সম্পদের পুরো অবচয় চার্জ না করা পর্যন্ত অলস পড়ে থাকা বা ব্যবহার না করলেও অবচয় চার্জ করতে হবে।

এ হিসেবে ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫১ টাকার অবচয় কম চার্জ করেছে। অর্থাৎ ওই বছরে একই পরিমাণ মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইপিএস দেখিয়েছে ৮.০৫ টাকা। তবে হিসাব মান অনুযায়ি ওই অবচয় চার্জ করলে ইপিএস নেমে আসতো ৭.৫৫ টাকায়। এ হিসেবে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা বেশি মুনাফা দেখানো হয়েছে।

ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ফান্ডের জন্য ৩.৫২ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে। কিন্তু ওই ফান্ড আইন অনুযায়ি পার্টিসিপেটরি ফান্ড, ওয়েলফেয়ার ফান্ড ও ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়াল ফাউন্ডেশন ফান্ডে ৮০:১০:১০ এই আনুপাতিক হারে বিতরন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যে অর্থ বিনাসুদে কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে শ্রম আইনের ৯৯ ধারায় ১০০ জন স্থায়ী কর্মী থাকা কোম্পানিতে গ্রুপ বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ তাদের কোম্পানিতে এই বীমা প্রযোজ্য হলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এর মাধ্যমে আইনটি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। উল্লেখ্য, ১৯৯২ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়াটা কেমিক্যালের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৩.৫৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে।