দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বরাদ্দের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৬ গুণ বেশি আবেদন জমা দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে বলে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের নাজুক অবস্থার মধ্যে নতুন আরেকটি ব্যাংক তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। শেয়ার বিনিয়োগকারীরা জানান, আইপিওতে যারা শেয়ার পান তারা মূলত ধরে নেন প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ করে শেয়ারের দর বাড়বে। এতে নিশ্চিত লাভবান হবেন তারা।

মূলত এমন প্রবণতা থেকেই ব্যাংকসহ অন্যান্য খাতের আইপিওতে আগের চেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১২ কোটি শেয়ারের মধ্যে অনাবাসী বাংলাদেশি ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ শতাংশ বা ৬ কোটি শেয়ার।
এবং অনাবাসী বাংলাদেশিদের জন্য রাখা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার। বাকি ৪০ শতাংশ রাখা হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। উল্লেখিত সংখ্যার বেশি আবেদন জমা পড়ায় এখন লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।

উত্তোলন করা ১২০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়ে ব্যাংকটি ব্যয় করবে ১১৬ কোটি টাকা। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করবে ৬ কোটি টাকা। এবং আইপিও বাবদ ব্যয় করা হবে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এক যুগের বেশি সময় পর ব্যাংক খাতে এনআরবিসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০০৮ সালে ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে সবশেষ তালিকাভুক্ত হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৯তম কমিশন সভায় ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন করা হয়। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসি ২০২০ সালে ৩২৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৬৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে এ সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা ৫৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার ইনভেস্টমেন্ট ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।