দেশ প্রতিক্ষণ, বাউফল: পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগ (আসম ফিরোজ গ্রুপ) সভাপতি ও নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও তার সুমন্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদসহ অপরপক্ষের (মেয়র জুয়েল গ্রুপ) ছাত্রলীগ নেতা আরিফ, ইউসুফ, সিদ্দিক উল্লাহসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শহরের পাবলিক মাঠস্থ রিক্সাস্ট্যান্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ইব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর রশিদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসম ফিরোজ এমপি গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপের ছাত্রলীগের মধ্যে বাকবিতান্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় আসম ফিরোজ এমপি গ্রুপের লোকজন মেয়র জিয়াইল হক জুয়েল গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলির একটি তোরা ভেঙে ফেলে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কুন্ডপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শহরে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনের ফটক প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পাবলিক মাঠস্থ রিক্সাস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে এমপি গ্রুপের লোকজন মিছিলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান দাবি করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, থানার সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের ভুমিকা ছিল নিরব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে ৯টা) শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতংকে ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে পুলিশ মোতায়েন আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’