দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনা মহামারির বছরে পরিচালন মুনাফা ২৪০ কোটি টাকা কমে গেলেও চূড়ান্ত মুনাফা ৯ কোটি টাকার মতো বেড়েছে ব্যাংক এশিয়ার। গত বছরের চেয়ে আয় বেশি হলেও শেয়ারধারীদের জন্য একই পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা অর্থাৎ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির কোম্পানি সচিব এস এম আনিসুজ্জামান। গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি আয় করেছে এক টাকা ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ মহামারির বছরে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭ পয়সা।

আগের বছরও ব্যাংকটি তার শেয়ারধারীদেরকে এক টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে অর্থনীতি চালু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এ কারণে ব্যাংকগুলোর আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে হিসাব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাতে দেখা যায়, ব্যাংক এশিয়ার আয় আগের বছরের চেয়ে কমে যায় ২৫ শতাংশ।

২০১৯ সালে এই ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৯৫০ কোটি টাকা, সেটি কমে ২০২০ সালে মুনাফা হয় ৭১০ কোটি টাকা। ২৪০ কোটি টাকা মুনাফা কমে গেলেও করোনাকালে সঞ্চিতি সংরক্ষণসহ নানা সুবিধার কারণে বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা। ব্যাংকটির চূড়ান্ত মুনাফা হয়েছে ২০৪ কোটি তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। গত বছর আয় ছিল ১৯৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে ৯ কোটি টাকার মতো। এর আগে যে তিনটি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার একটিরও চূড়ান্ত মুনাফা গত বছরের চেয়ে কমেনি।

পরিচালন মুনাফা ৯০ কোটি টাকা কমে গেলেও ডাচবাংলা ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। পরিচালন মুনাফা ২০০ কোটি টাকা কমে গেলে চূড়ান্ত মুনাফা ১৫ শতাংশের মতো বাড়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের। পরিচালন মুনাফা ৩০৩ কোটি টাকা কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা ২০১৯ সালের সমান হয় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের।

ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারধারীরা প্রস্তাবিত এই মুনাফা পেতে চাইলে তাদের শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ৮ এপ্রিল। আগামী ২৯ এপ্রিল বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মুনাফা চূড়ান্ত হবে। বাংলাদেশে প্রস্তাবিত মুনাফা পাল্টানোর উদাহরণ একেবারেই কম। করোনাকালে এবার বার্ষিক সাধারণ সভা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।