দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের শেয়ারে সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশের চমক দেখিয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ইতিমধ্যে ৭ ব্যাংকের প্রায় নগদ ৮শ’ কোটি লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। ঘোষিত লভ্যাংশের বাজার বিশ্লেষণ করলে এ বছরে সবরেচয়ে ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে ব্যাংক খাত। লভ্যাংশ বিশ্লেষণ করলে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতে বিনিয়োগের উত্তম সময়। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকে ২০২০ হিসাব বছরে নগদ লভ্যাংশ হিসাবে প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা দিচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো হলো: ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এসব ব্যাংক ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিদেন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকে নগদ লভ্যাংশ হিসেবে মোট ৭৭০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩২ টাকা দিচ্ছে। আলোচিত হিসাব বছরে পাঁচ ব্যাংকের বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন বাড়ছে মোট ২৬০ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩ টাকা।

এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮টি ব্যাংকের লভ্যাংশের মধ্যে ৬টির ডিভিডেন্ড বেড়েছে, ১টির কমেছে এবং ১টির অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া ৬ ব্যাংক হল: সিটি, ডাচ বাংলা, যমুনা, ওয়ান, প্রিমিয়ার ও শাহজালাল। ডিভিডেন্ড কমেছে মার্কেন্টাইলের। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। এদিকে, মুনাফা বেড়েছে ৫টির, কমেছে ৩টির। বেড়েছে এশিয়া, সিটি, ডাচ বাংলা, যমুনা ও শাহজালালের। মনুাফা কমেছে মার্কেন্টাইল, ওয়ান ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ।

ব্যাংক এশিয়া : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এক টাকা হিসেবে মোট ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।

অন্যদিকে আলোচিত বছরে এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস (সলো ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৩ টাকা ৩৪ পয়সা। আর এককভাবে ছিল ২৩ টাকা ৬৮ পয়সা। আগামী ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ এপ্রিল।

ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এক হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬১টি শেয়ারের মধ্যে ৫১.৩৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩৪.০৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.২২ শতাংশ বিদেশি এবং ১৪.৩৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

সিটি ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকটি ২২.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এক টাকা ৭৫ পয়সা হিসেবে ১৫২ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯১ টাকা ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে।‬ একই সঙ্গে বোনাস লভ্যাংশের মাধ্যমে ব্যাংকটির মূলধন বাড়বে ৫০ কোটি ৮১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০ টাকা ৫০ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ মে, ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ এপ্রিল। ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এক হাজার ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ১০১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬১টি শেয়ারের মধ্যে ৩২.৮৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২১.৪৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৩.৯১ শতাংশ বিদেশি এবং ৪১.৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এক টাকা ৫০ পয়সা হিসেবে মোট ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকটির মূলধন বাড়বে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সর্বশেষ বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ৭ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।

ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ৫৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৫৫ কোটি শেয়ারের মধ্যে ৮৬.৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৫.০৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০১ শতাংশ বিদেশি এবং ৭.৯২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড । এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এক টাকা হিসেবে মোট ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকটির মূলধন বাড়ছে ৪ কোটি ৯২লাখ ৮১০ টাকা ৮৫ পয়সা।

সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৩৭ পয়সা। তবে রিস্টেটেড ইপিএস গতবছরের সমান অর্থাৎ ২ টাকা ২৬ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে আলোচিত বছরে এককভাবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস (সলো ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা (রিস্টেটেড)। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৬১ পয়সা। আর একভাবে ছিল ২২ টাকা ৪৬ পয়সা। আগামী ২৮ এপ্রিল, বুধবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ এপ্রিল, সোমবার।

ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং ৯৮৪ কোটি এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭টি শেয়ারের মধ্যে ৩৭.৭১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২২.৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৪.০৮ শতাংশ বিদেশি এবং ৩৫.৩২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ নগদ এবং ৭.৫০ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ২৫ পয়সা হিসেবে ১২১ কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৪০‬ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে।

একই সঙ্গে বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকটির মূলধন বাড়ছে ৭২ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৪‬ টাকা। ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ মে, ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ এপ্রিল।
এদিকে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২১ টাকা ২ পয়সা।

গত বছরের একই সময় এনএভি ছিল ১৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার কোটি টাকা এবং ৯৭০ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানির ৯৭ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫২টি শেয়ারের মধ্যে ৩৫.৩৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৬.৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১.৭২ শতাংশ বিদেশি এবং ৪৬.৪৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকটি ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৭০ পয়সা হিসেবে ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ টাকা ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে।

একই সঙ্গে বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকটির মূলধন বাড়ছে ৪৯ কোটি ৪৬ হাজার ১৬৮‬ টাকা। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আগামী ২৮ এপ্রিল কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ এপ্রিল।

ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার কোটি টাকা এবং ৯৮০ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৭২ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানির ৯৮ কোটি ৯২ হাজার ৩৩৬টি শেয়ারের মধ্যে ৪৮.৭৭ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৩.৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.১৫ শতাংশ বিদেশি এবং ৩৭.৬৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

যমুনা ব্যাংক লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এক টাকা ৭৫ পয়সা হিসেবে মোট ১৩১ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩২ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছরের একই সময় এনএভি ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে ৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা।

গত বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ৯২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ মে, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ এপ্রিল।

ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- এক হাজার কোটি টাকা এবং ৭৪৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯৫৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এ কোম্পাানির ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০টি শেয়ারের মধ্যে ৪৭.৯৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৬.৭১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৫০ শতাংশ বিদেশি এবং ৪৪.৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।