দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। গত ২৯ মার্চ কোম্পানিটিতে নতুন ৬ জন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির পুন্জিভূত লোকসান হয়েছে ১৫২ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের পর থেকে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারছে না। ফলে ২ বছর ১১ মাস যাবত কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এই জন্যই কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

কোম্পানিটির নতুন পর্ষদ: কোম্পানিটিতে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকসহ বর্তমানে সাতজন পরিচালক রয়েছে। এর মধ্যে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক। শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের রেখে ছয়জর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। বিএসইসির দেওয়া ছয় জনসহ আগামীতে কোম্পানির পরিচালক হবে নয় জন।

এরা হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল মুকবুল, সোসাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান আজিজ, সাংবাদিক শেখ নাজমুল হক সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সজিব হোসেন সিএফএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সির পরিচালক ড. মোশাররফ হোসাইন, সিনিয়র কনসালটেন্ট একেএম শহিদুজ্জামান, উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডর পরিচালক শামসুল ইসলাম ভরসা, খাদিজা ওয়াহিদা জাহান এবং আসাদুজ্জামান।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর পর ২০১৪ সালে আড়াই শতাংশ বোনাস, ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন ২০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মুলধন হলো ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূণ্য দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জারিয়াব বলেন, বিএসইসির ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে। বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকদের বাচানোর জন্য বিএসইসসি একটি সময় উপযোগি ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটিতে যোগ দেওয়া পর দেখি গ্রাহকরা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য সিরির সামনে ভির করছে।

কোন গ্রাহক টাকা ফেরত পাচ্ছে না। আমি যোগ দেওয়ার পর ৫৪ কোটি টাকার মতো পুনরুদ্ধারের (রিকোভারি) করেছি। এর মাধ্যমে ছোট গ্রাহকদের অনেক টাকা ফেরত দিয়েছি। এবং অনেক প্রতিষ্ঠানের ঋণ রেগুলার (নিয়মিত) করেছি। আশা করছি আগামীতে কোম্পানিটি আরও ভালো করবে।