দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এক সপ্তাহের লকডাউন দেয়া হলে ব্যাংক কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও একদিন পরে আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এক সপ্তাহের লকডাউনে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে, নাকি খোলা থাকবে; খোলা থাকলেও কতক্ষণ-কীভাবে লেনদেন হবে-এ সব বিষয়ে জানা যাবে রোববার।’

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে জনসমাগম কমাতে ১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে সোমবার থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও বাংলাদেশ লডকাউনের পথে হাঁটেনি। তবে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ধাপে ধাপে দেয়া হয় সাধারণ ছুটি। এই সময়ে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লেনদেন চালু ছিল ব্যাংকে। তবে নানা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাতে ঢুকতে হয়েছে মানুষকে। লকডাউনে কী কী খোলা থাকবে, সেটি পুরোপুরি না জানালেও ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে জানিয়েছেন, শিল্প কারখানা চালু থাকবে।

এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কী হবে?- জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ। এই সিদ্ধান্ত আজ আসছে না।’

ব্যাংক খোলা থাকার ওপর নির্ভর করছে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু থাকা না থাকা। সম্প্রতি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লেনদেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যাংকের লেনদেন যতদিন চলবে, পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে ততদিন।