দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লকডাউনে ১৮১ পয়েন্ট সূচক উধাও হয়েছে। লেনদেনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন। বিক্রির চাপে বর্তমান কমিশনের আমলে এটাই সূচকের বড় দরপতন। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দিতে এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে সরকার। এতে আতঙ্কিত হয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন।

যার ফলস্বরূপ দিনের লেনদেন শেষে বড় ধসের ঘটনা ঘটেছে দেশের শেয়ারবাজারে। এই ধসের মধ্যে পড়ে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনেই ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে নেই হয়ে গেছে।

এর আগে বাংলাদেশে করোনার প্রকোপের শুরুতেও গত বছর শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই সংবাদে ৯ মার্চ ভয়াবহ ধস নামে শেয়ারবাজারে। একদিনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২৭৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায় ১৭ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।

বড় ওই ধসের পরও শেয়ারবাজরে ধস চলতে থাকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা) নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় টানা ৬৬ দিন বন্ধ রাখা হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।

তবে বিএসইসির নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর গত বছরের ৩১ মে শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন শুরু করেন। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাবও পড়ে।

কিন্তু করোনার শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই এখন নতুন করে আবার ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার। রোববার (৪ মার্চ) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই দেশজুড়ে এক সপ্তাহের লকডাউনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৮৫ পয়েন্ট পড়ে যায়।

শেয়ারবাজারে দেখা দেয়া এই বড় দরপতনের মধ্যেই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানান, লকডাউনের মধ্যেও শেয়াবাজারে লেনদেন বন্ধ হবে না। ব্যাংকের লেনদেনের সময়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।