দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস ঠেকাতে এক সপ্তাহের লকডাউনের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তারা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে দিনশেষে বড় ধসের ঘটনা ঘটে পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজারে ধসের মধ্যে পড়ে আজ ডিএসইতে ২৫১ কোম্পানির শেয়ার দর কমে যায়। দর বাড়ে মাত্র ৭টির। আর অপরিবর্তিত থাকে ৬৬টির। অপরিবর্তিত থাকা কোম্পানিগুলোর সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসের কোম্পানি।

দর পতনের ২৫১ট কোম্পানির মধ্যে ৫০টিরও বেশি লেনদেনের এক পর্যায়ে ক্রেতাহীন হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষদিকে কয়েকটি কোম্পানির ক্রেতা ফিরতে দেখা যায়। তবে ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের কোন ক্রেতা লেনদেনের শেষ অবধিও দেখা যায়নি। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতের ছিল- আইএফআইসি ও এবি ব্যাংক।

আর্থিক খাতের বে-লিজিং, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও মাইডাস ফাইন্যান্স। প্রাইম ফাইন্যান্সও এক পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য ছিল। শেষদিকে কিছু ক্রেতার সমাগম ঘটে। ইন্সুরেন্স খাতের রিপাবলিক ইন্সুরেন্স ও সিটি ইন্সুরেন্স। নিটল ইন্সুরেন্স, গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স ও নর্দার্ন ইন্সুরেন্স লেনদেনের মধ্যভাগে ক্রেতা সংকটে ছিল। প্রকৌশল খাতের এসএস স্টিল, গোল্ডেন সন, বিডি থাই, সাভার রিফেক্টরিজ, বিডি ল্যামপ, মিরাকল ইন্ডাষ্ট্রিজ ও অ্যাপেলো ইস্পাত লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ক্রেতা সংকটে ছিল।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ফাস্ট ক্রেতা সংকটে ছিল প্রাইম, এসইএমএলআইবিবিএল, সিএপিএমআইবিবিএল, ভিএএমএলআরবি। সিএপিএমবিডিবিএল ফান্ডও এক পর্যায়ে ক্রেতা সংকটে ছিল। নতুন শেয়ারের মধ্যে ছিল ডমিনেজ স্টিল, তৌফিকা ফুড, লুব রেফ, ই-জেনারেশন ও মীর আকতার। রবি আজিয়াটাও এক পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য ছিল।

অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে জিকিউ বল পেন, আমান কটন, বিকন ফার্মা, এরামিট সিমেন্ট, জেনারেশন নেক্টট, লাফার্জহোলসিম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, এমারেন্ড ওযেল, শাইনপুকুর সিরামিক, তাল্লু স্পিনিং, ন্যাশনাল ফিড, এডিএন টেলিকম, আনলিমা ইয়ার্ন, ম্যাকসন, জিলবাংলা সুগার, অলটেক্স, সাইফ পাওয়ার, সোনালী আঁশ, জেএমআই সিরিঞ্জ ও রহিমা ফুড।