দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই ৫০ কোম্পানির বেশি শেয়ারের ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবগুলোই ৬৬টি কোম্পানির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত।

এদিকে, লেনদেন শুরু হতেই প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক পড়ে যায় ৬০ পয়েন্টের বেশি।

অথচ এর আগে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ-এর মধ্যে পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। বিধিনিষেধ আরোপের প্রথম তিন দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় আড়াইশ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার কমিশন সভা করে তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে এই কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি। বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের পর রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কড়া সমালোচনা করতে থাকেন।

পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এসব বিনিয়োগকারীরা পোস্ট দেন বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের কারণে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে। ফলে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স-এ ৬০ পয়েন্ট পড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের পতন প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দাম কমার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।