দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জান গেছে।

কোম্পানিগুলোর ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৬টি শেয়ার ৭৪ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বীমা কোম্পানির সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-প্রভাতী ইন্সুরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার। আর প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার।

এছাড়া রেনেটার ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, বিবিএস কেবলসের ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১১ লাখ ২৩ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ব্যাংকের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার,

গ্রামীণফোনের ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৭২ লাখ ১০ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ৫১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, সিমটেক্সের ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং উত্তরা ব্যাংকের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ব্যাংক বন্ধ থাকলে পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকবে: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। আর ব্যাংক বন্ধ হলে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারও। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।’

তবে, ব্যাংক বন্ধ থাকবে কিনা তাতক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকবে কিনা সে বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।’

এদিকে ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

সূত্রমতে, ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকতো ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে। এর আগে অবশ্য গত সপ্তাহের লকডাউনে (৫-৭ এপ্রিল) সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ সোমবার থেকে শেয়ারবাজারে আড়াই ঘণ্টার লেনদেন চলছে। কাল মঙ্গলবারও বাজারে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন হবে।

৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা বিকালে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আজ বিকালে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি ৫টি হলো : পূবালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, লিবরা ইনফিউশন এবং কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।

পূবালী ব্যাংক: পূবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা আজ ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স: আজ বীমা খাতের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া একই পর্ষদ সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।

ব্র্যাক ব্যাংক: ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

লিবরা ইনফিউশনস: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

ইস্টার্ন ব্যাংক: ইস্টার্ন ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত সভা বিকাল ৩টায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

সিলকো ফার্মার আফগানিস্তানে ওষুধ রফতানির কার্যক্রম শুরু: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলকো ফার্মার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধ রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রথম সিলেট থেকে সিলকো ফার্মার আফগানিস্তানে ১৩টি ওষুধ রফতানির মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করছে। রোববার এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আর পর্যটননির্ভর সিলেটের অর্থনীতিতে যোগ হলো আরও একটি সম্ভাবনাময় খাত।

সিলেটের ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সিলেটের শিল্পায়নে এই উদ্যোগটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। রফতানির এই ধারা অব্যাহত রাখলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সিলেটে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে। এতে এই অঞ্চলে শিল্পায়ন আরও সুদৃঢ় হবে। কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে বৈদেশিক আয়।

সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট শহরতলীর বিসিক খাদিম নগর এলাকায় ১৯৯৭ সালে যাত্রা করে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রথমে মাত্র ১০টি ওষুধের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে শতাধিক ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি রয়েছে। সিলেটে মূল কারখানাটি হলেও বরিশাল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব ডিপোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলছে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে আগামী পাঁচ বছর আফগানিস্তানের জাঈদ ইলিয়াস আদিল লিমিটেডের কাছে ১৩টি ভিন্ন ওষুধ রফতানির চুক্তি করে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী রোববার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে ওষুধ রফতানির কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. বদরুল হক রোকন, ডিরেক্টর (অপারেশন) ডা. সফিউল আযম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভ্যাট অ্যান্ড স্টোরের ইনচার্জ অর্পণ তালুকদার বলেন, সিলেট থেকে এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধ রফতানি শুরু করেছে। এই রফতানির ফলে একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছর আমরা ওষুধ সাপ্লাই দিব। পাশাপাশি ইয়েমেনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে সেটিও বাস্তবায়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে কোনো ইন্ডাস্ট্রি নেই। তবুও ওষুধ খাতে আন্তর্জাতিক বাজারে সিলেট এই প্রথম নাম লেখানোর কারণে বৈদেশিক আয়ের পাশাপাশি শিল্পায়নের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই বাজারটি বড় হলে অনেক প্রতিষ্ঠান সিলেটে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটাবে। এতে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। এদিকে ওষুধ রফতানির এই কার্যক্রম সিলেটবাসীর জন্য সুখবর বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদ শুয়েব।

তিনি বলেন, আমরা চাই সিলেটে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠুক। চেম্বারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আমরা অনেক উদ্যোগই নিয়েছি। সিলেটে থেকে একটি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রফতানি করছে। এখন থেকে তাদের আরও বেশি উৎপাদনে যেতে হবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সিলেটের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখবে।

ভবিষ্যতে মুনাফা করা কষ্ট হয়ে যাবে: রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের মুনাফা করা সহজ হবে না। ভবিষ্যতে দেশে ব্যবসা করাই কষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রোববার দুপুরে রবির জানুয়ারি থেকে মার্চের ত্রৈমাসিক ব্যবসায়ীক পারফামেন্স (কিউ-১) তুলে ধরার জন্য আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। এতে কোম্পানিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রবির সিইও বলেন, আইপিওতে গেলে আমরা ভেবেছিলাম রাজস্ব কমে আসবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। রাজস্ব আরো বাড়লে ব্যবসা করা কষ্ট হয়ে যাবে

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেকেন্ডারি প্রাইজ কি কারণে ওঠা-নামা করে তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয় বা উচিতও নয়। করোনায় রবি ভালো করেছে। গতবছর আমরা অনেক বেশি স্ট্রাগল করেছি এবং বিস্তর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরপর আমরা এবার ভালো করছি। গতবারের মতো হবেনা এবার।

সাধারণ জনগণের বিষয়ে সরকার একটু সহনীয় হলে আমরা খুব সহজেই এই মহামারির বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবো। এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ লোক মোবাইল ব্যবহার করে না। তাদের সেবার আওতায় আনার জন্য সরকারের কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। যতো লাভ হোক না কেনো আমার ২ শতাংশ ট্রাক্স যে দিতে হবে সে জায়গায় আমি ফেয়ারনেস চাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুতেই রবির চিফ কর্পোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. শাহিদ আলম বলেন, আমাদের করোনাকালীন সময়ে ডিজিটাল সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানান ধরনের চালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আমরা মহামারির সময়ে ঘরে বসে অফিস করা শিখছি। যারা কখনো অনলাইনে বাজার করেননি তারাও এ সময়টাতে অনলাইন কেনাকাটা করছে।

এরপর রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ স্লাইডের মাধ্যমে কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক ব্যবসায়ীক পারফামেন্সের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সেবা পুরো দেশের ৬৪ জেলায় ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। আমরা সব জায়গায় আমাদের ফোর-জি সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

করোনায় অনেকে ঘরে বসে কাজ করতে পারলেও অনেকে ঘরে বসে থাকতে পারছে না। রবি সব সময় তার সাবস্কাইবারদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা আমাদের সমাজের জন্য অনেক ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা রবি ১০ মিনিট স্কুলের মতো অনেক বিষয়ে সফল হয়েছি।

রবির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এম রিয়াজ রাশেদ বলেন, আমরা আমাদের ডাটা অনেক শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা অল্প দামে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগের চেয়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রে সফল। সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

গ্রামীণফোনের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৯ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ডিএসইতে টানা লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট ৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার কোম্পানিটি মোট ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৭টি শেয়ার হাতবদল করেছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

বারাকা পতেঙ্গার আইপিও অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি: বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের নিলামে কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বশেষ সভায় কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করবেন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কোম্পানির বিডিং অর্থাৎ নিলামের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। এই বিডিং অর্থাৎ নিলামে মোট ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। নিলামে শেয়ারের কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

পুঁজিবাজারে থেকে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটির সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওখাতে ব্যয়ে ব্যবহার করবে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটি বিডিংয়ে বিডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ এবং সর্বনিন্ম ১৩ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। যা তাদের বরাদ্দের চেয়ে ৪৭৭ শতাংশ বেশি। বারাকা পতেঙ্গার ১৮৩ জন বিডার ৩২ টাকা দরে বিডিং করেছেন। এর চেয়ে ১ টাকা কম দরে অর্থাৎ ৩১ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন ২২ জন। অপরদিকে সর্বনিন্ম ১৩ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী।

এ লক্ষ্যে গত ৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৭ টাকা। আর বিগত পাঁচ আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৩০ টাকা।

২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৬২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিবিবি পাওয়ার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফিন্যান্স ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

সিএসই ট্রেক ইস্যুর আবেদনের সময় বাড়িয়েছে: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃক নতুন ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যুর আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, নতুন বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ট্রেক ইস্যুর জন্য আবেদন করা যাবে। এর আগে নতুন ট্রেক ইস্যুর আবেদনের জন্য ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার বিবেচনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় আগ্রহী আবেদনকারীগণ/প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাসময়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতিতে বাধাঁগ্রস্ত হয়। তাই সিএসই বোর্ড আগ্রহী আবেদনকারীগণ/প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুরোধের ভিত্তিতে সময়সীমা বর্ধিত করে নতুন সময় নির্ধারণ করেছে।

আগ্রহী আবেদনকারীগণ/প্রতিষ্ঠানসমূহ/প্রার্থীগণ এর নিকট হতে সীলগালা খামের উপরে Offer for TREC লিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক , চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লি., সিএসই বিল্ডিং, ১০৮০, শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম-৪১০০ অথবা চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লি., ইউনুস ট্রেড সেন্টার (লেভেল-১৫), ৫২-৫৩, দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০ অথবা চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লি., বাড়ীর নাম- রওশন, বাড়ী নং-৩২, রোড-৩২,নিকুঞ্জ-০১, ঢাকা-১২২৯, বরাবর দরখাস্ত আবেদন করতে পারবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক তথ্য নিম্নোক্ত লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবেঃ http://www.cse.com.bd/new.trec_cse_adhttp://www.cse.com.bd/new.trec_cse_ad